![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fcdn.banglatribune.net%2Fcontents%2Fcache%2Fimages%2F900x505x1%2Fuploads%2Fmedia%2F2022%2F03%2F22%2Fpwd2-c6c4688e6a4f77cd728e617c1997dcf8.jpg%3Fjadewits_media_id%3D782265)
মালি-ঝাড়ুদারদের পোশাক আত্মসাৎ
চারশ’ মালি ও ঝাড়ুদারের নির্ধারিত পোশাকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে গণপূর্ত বিভাগের অধীন আরবরিকালচারের প্রধান বৃক্ষপালনবিদের বিরুদ্ধে। জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, সচিবালয়সহ সরকারি বিভিন্ন বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য গাছ রোপণ ও পরিচর্যার দায়িত্বে থাকেন এসব মালি ও ঝাড়ুদাররা।
নিয়ম অনুযায়ী, তারা প্রতি শীত ও গরমের সময়ে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট পোশাক বরাদ্দ পাবেন। কিন্তু পোশাক চাইতে গেলে নিগ্রহের শিকার হন তারা, বন্ধ হয়ে যায় বেতন। এভাবে প্রায় ৯ বছর ধরে তারা কোনও পোশাক পাচ্ছেন না। নিজেদের সাধারণ প্যান্ট-শার্ট পরেই বাগানে কাজ করেন।
পোশাক আত্মসাতের ঘটনায় প্রধান বৃক্ষপালনবিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হলেও এ প্রতিবেদন আলোরমুখ দেখেনি। উল্টো যারা তদন্ত করেছেন তাদের ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে হয়রানিও করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে গণপূর্তের প্রধান বৃক্ষপালনবিদ (আরবরিকালচার) কুদরত-ই-খুদা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পোশাকের বিষয়ে কোর্টে মামলা চলছে, তাই আমি এসব বিষয়ে কথা বলবো না। তবে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এর বেশি আর কিছু বলা যাবে না।’
গণপূর্তের নিয়োগকৃত মালির সংখ্যা চারশ’র কাছাকাছি। কিছু মালি অবসরে গেলেও এই সংখ্যা এখন সাড়ে তিনশ’র কম নয়। এছাড়াও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতেও কিছু মালি কাজ করেন। এদের মধ্যে নারী ও পুরুষ উভয় শ্রেণির মালি রয়েছেন।
গণপূর্ত বিভাগের আরবরিকালচার শাখার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বা মালিরা জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ রাজধানীর সরকারি বড় বড় উদ্যান, পার্ক, সচিবালয়, সরকারি অফিস, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ভিআইপিদের বাড়ি ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেন। নির্ধারিত পোশাক পরে তাদের ওইসব এলাকায় বৃক্ষরোপণ, পরিচ্ছন্নতা ও পরিচর্যাসহ সৌন্দর্যবর্ধনের দায়িত্ব পালন করার কথা।