নতুন পদ হিসেবে প্লেটে আসছে অক্টোপাস থেকে নিরামিষ স্টেক
হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এশিয়া মহাদেশে খানদানি খাদ্য হিসেবে জেলিফিশ খাওয়া হয়৷ এবার হয়তো ইউরোপেও এমন পদ পরিবেশন করা হবে৷ ইটালির রাঁধুনি জেনারো এস্পোসিতো ইউরোপের অন্যতম প্রথম তারকা শেফ হিসেবে জেলিফিশ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন৷
যারা পরীক্ষামূলক এই পদ চেখে দেখছেন, তাঁদের পক্ষে থলথলে এই প্রাণী খাওয়া সহজ নন৷ জেনারো অবশ্য মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘প্রথমত টেনট্যাকেল বা কাঁটার মতো অংশ ফেলে দিতে হয়, কারণ সেগুলি বিপজ্জনক৷ ত্বকে বিদ্যুতের মতো শক দিতে পারে৷ জেলিফিশের কোনো তুলনা নেই৷ মিনারেল সমৃদ্ধ ও পুষ্টিতে ভরপুর৷''
জেলিফিশ সত্যি খাদ্য হিসেবে অভিনব৷ নানা রকম মিনারেল ছাড়াও এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদানও রয়েছে৷ কে জানে, হয়তো অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপে জেলিফিশের কদর বেড়ে যাবে৷
খাদ্যের ক্ষেত্রে নতুন প্রবণতার আরো উদাহরণ রয়েছে৷ যেমন সুইজারল্যান্ডে চিজের সম্পূর্ণ ভিগান বিকল্পের চল বাড়ছে৷ এমনকি গরম চিজের এই পদেও কোনো দুধ নেই৷ কাজুই এমন ভিগান খাদ্যপণ্যের ভিত্তি৷
‘নিউ রুটস' নামের কোম্পানি প্রতি মাসে প্রায় চিজের দেড় লাখ ভিগান বিকল্প উৎপাদন করে৷ ২০১৫ সালে ফ্রেডি হুনৎসিকার মাত্র ২১ বছর বয়সে নিজের এই কোম্পানি গড়ে তোলেন৷ তাঁর মতে, এটাই ভবিষ্যৎ৷ মানুষকে মনোভাব বদলাতে হবে৷ সেটাই মানুষের বিবর্তনের নিয়ম৷