নরসিংদীর ১৫ জনের পরিবারে আহাজারি থামেনি
‘আমগো আর কষ্ট করতে হইব না, আমি সব কষ্ট দূর কইরা দিমু ইনশাল্লাহ’। ইতালির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগ মুহূর্তে লিবিয়া থেকে টেলিফোনে মা রুবি বেগমকে এ কথা বলেছিলেন ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আল-আমিন ফরাজি। ওই সময় তিনি তার মাকে কাকুতি-মিনতি করে দালালদের পাওনা সাড়ে ৬ লাখ টাকাও পরিশোধ করতে বলেছিলেন। পরে কোনো রকমে সাড়ে ৪ লাখ টাকা স্থানীয় দালাল তারেক মোল্লার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আল-আমিন ফরাজির বাড়ি নরসিংদীর ডৌকারচর এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে গেলে তার মা রুবি বেগম এসব কথা জানান। এ সময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারি করতে দেখা যায়।
‘আমার ভাই বেঁচে আছে তো’- এমন প্রশ্ন করে আল-আমিন ফরাজির বোন ইতি আক্তার বলেন, ‘আমাদের অভাবের সংসার। বাবা মারা যাওয়ার পর আল-আমিন সংসারের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।’ শুধু ইতি নন, নৌকাডুবিতে ওই এলাকার নিখোঁজ হওয়া আলমগীরের স্ত্রী মৌসুমী ও নাদিম সরকারের মা সামসুন্নাহারেরও একই অবস্থা।