ভরসা যখন প্রধানমন্ত্রী
শরীফ উদ্দিন অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে একসময়ের অতি উত্তম বলে বিবেচিত এই কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে চাকরি হারিয়েছেন। চাকরি হারানোর পরও তাঁর বিরুদ্ধে কমিশন তিন-তিনটি বিভাগীয় তদন্ত চলমান রেখেছিল। এমন একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতিবিরোধী ভিশন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তিনি প্রভাবশালীদের রোষে পড়েছেন। সহকর্মী ও মানুষের দোয়া, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজরের কারণে তিনি গুম হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন।
শরীফ তাঁর বিরুদ্ধে অবিচার রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সবচেয়ে বড় ভরসা মনে করছেন। এই অবিচার প্রতিরোধে দেশে আইন আছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে, প্রশাসনিক আদালত আছেন, আছেন হাইকোর্ট। তবে তাঁকে ভরসা করতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টির ওপর। শরীফের এসব কথাবার্তা প্রধানমন্ত্রীকে মহীয়ান করে তোলে হয়তো; কিন্তু একই সঙ্গে এ প্রশ্নের তাগিদও সৃষ্টি করে যে তিনি কেন দেশের আইন-আদালত বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করতে পারছেন না। প্রভাবশালী মহলের কাছে গুম হওয়ার আশঙ্কা রোধে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টিই কেন শুধু কার্যকর বলে বিবেচিত হবে?