‘কি-স্টোন’ প্রজাতি রক্ষা জরুরি হয়ে পড়েছে
বাস্তুতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে পৃথিবীর সব প্রজাতিই মূল্যবান। কিন্তু স্থান ও সময়ভেদে কিছু প্রজাতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রজাতিদের এই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার বিষয়কে কেন্দ্র করে বাস্তুতত্ত্ববিদরা প্রজাতিদের নানা ধরনের নামকরণ করেছেন। যেমন—কোনো একটি বাস্তুতন্ত্র থেকে কোনো একটি বিশেষ প্রজাতি ধ্বংস হয়ে গেলে তার প্রাচুর্যের তুলনায় গোটা বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা যায়।
বাস্তুতত্ত্বে এ ধরনের প্রজাতিকে ‘কি-স্টোন’ প্রজাতি বলা হয়। বিখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক রবার্ট পেইন ১৯৬৯ সালে স্থাপত্যবিদ্যার ‘কি-স্টোন’ (খিলানের মধ্যপ্রস্তর বা চাবি) শব্দটিকে বিষয়টির বর্ণনার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। ভবনের খিলান থেকে মধ্যপ্রস্তর খণ্ডটি খুলে নিলে যেমন অন্য প্রস্তরখণ্ডগুলো পড়ে যায়, তেমনি বাস্তুতন্ত্র থেকে বিশেষ কোনো প্রজাতি ধ্বংস হলে গোটা বাস্তুতন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়।