ইসির সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের নিশ্চয়তা দরকার
৫০ বছর পর হলেও সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ জাতীয় সংসদের মাধ্যমে প্রণীত হয়েছে। আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ প্রদানের জন্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন, অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের জন্য যোগ্যতা-অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলির বিষয়ে বলা হয়েছে, অনুসন্ধান কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে এবং এই আইনে বর্ণিত যোগ্যতা, অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, সততা ও সুনাম বিবেচনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগদানের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম (প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে প্রতিটি শূন্যপদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুজন ব্যক্তির নাম) সুপারিশ করবে। রাষ্ট্রপতি সেখানে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন।অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সদ্যঃপ্রণীত আইনটিতে অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহবান করার বিধানও রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আইনটি পাসের আগে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, রওশন আরা মান্নান, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক ও ফখরুল ইমামের একাধিক সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি বিলের শিরোনামও পরিবর্তন করা হয়েছে।