কিবোর্ড অথবা লিপির কথা
স্বাধীনতার আগেই বাংলাদেশে কম্পিউটার এসেছিল তৎকালীন পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে এবং সমসাময়িককালে আদমজী জুটমিলে। একাধিক সূত্রের মতে, পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে স্থাপিত কম্পিউটারটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম কম্পিউটার।
স্বাধীনতার পরে একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে; যার মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরিসংখ্যান ব্যুরো, আণবিক শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, বিভিন্ন ব্যাংক, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। যদিও ষাটের দশকের শেষভাগ থেকেই বেশ কিছু ব্যাংক কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করে।
স্বাধীনতার পর থেকে নব্বইয়ের দশকের শুরু পর্যন্ত খুবই সীমিত কম্পিউটারের বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল আইবিএম ও এপল-ম্যাক কম্পিউটারের; বিশেষ করে ম্যাক কম্পিউটারের গ্রাফিক্যাল স্ক্রিনের কারণে প্রিন্ট ও উঠতি ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এর বিশেষ কদর। অন্যদিকে আইবিএম ছিল বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে বিশেষ আকর্ষণ। আশির দশকের মাঝামাঝি দেশে একাধিক অ্যাকাউন্টিং ও ব্যাংকিং সফটওয়্যার তৈরির কথা জানা যায়।