শুঁটকি বিক্রি করে কোটিপতি কক্সবাজারের আমান
প্রাকৃতিকভাবে অর্গানিক পদ্ধতিতে শুঁটকি তৈরি করছেন কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক শুঁটকিপল্লীর বাসিন্দা আমান উল্লাহ। লবণ, বিষ ও কেমিক্যালমুক্ত তার এই শুঁটকির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অল্প পরিমাণ হলুদ ও মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে রোদে শুকানো স্বাস্থ্যসম্মত এসব শুঁটকি এখন বিদেশেও সুনাম কুড়িয়েছে। শুঁটকি বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন আমান।
আমান উল্লাহ ছিলেন কক্সবাজার নাজিরারটেকের শুঁটকিপল্লীর একসময়ের শ্রমিক। এখন তিনি বড় ব্যবসায়ী। হাজারও ভেজালের ভিড়ে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে শুঁটকি তৈরি করে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। বর্তমানে দেশে-বিদেশে রয়েছে তার অর্গানিক শুঁটকির সুনাম। দিন দিন এই শুঁটকির চাহিদা বাড়তে থাকায় নিজে গড়ে তুলেছেন শাহ আমানত নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভোক্তাদের চাহিদামতো প্যাকেজিং করে বাজারজাত করেন তিনি। উৎপাদনের সময় লবণ, বিষ ও ফরমালিনসহ অন্যান্য ক্ষতিকর কেমিক্যালের ব্যবহার না হওয়ায় শুঁটকির প্রাকৃতিক স্বাদ ও গুণগত মান ঠিক থাকে বলে জানান আমান উল্লাহ।
আমান উল্লাহ জানান, দুই যুগের বেশি সময় ধরে সামুদ্রিক শুঁটকির ব্যবসায় জড়িত। এটি তার বাপ-দাদার পেশা। প্রথমে একজন শ্রমিক হিসেবে শুঁটকি উৎপাদন শুরু করেছিলেন। এরপর ছোট পরিসরে শুঁটকি ব্যবসা শুরু করেন। ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। এরপর আর পেছনে থাকাতে হয়নি। দুই শতক পেরিয়ে এখন তিনি শুঁটকিপল্লীর বড় ব্যবসায়ী ও নেতা।’