নির্বাচন কমিশন: স্বস্তি, শঙ্কা ও বিনোদন

প্রথম আলো মহিউদ্দিন আহমদ প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:০০

‘নির্বাচন কমিশন’ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে যা হচ্ছে, তাতে কেউ আতঙ্কিত, কেউ পাচ্ছেন বিনোদন। যাঁরা আগের কমিশনগুলোর সমালোচক ছিলেন, তাঁদের মনে শঙ্কা, আবার না ওই রকম একটি সিন্ডিকেট সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসে। সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাঁর বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কমিশন তার কাজে সফল হয়েছে’। এই উক্তিতে যাঁদের ঘোরতর আপত্তি, তাঁরা বলতেই পারেন, ‘লজ্জা, ঘৃণা, ভয়—তিন থাকতে নয়।’


অনেকেই অনুসন্ধান কমিটি তৈরি থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং কমিশনের অধীন ‘সফল’ নির্বাচনের বিষয়টিকে তামাশা মনে করেন। বাঙালি তামাশা পছন্দ করে। এতে নিখাদ বিনোদন থাকে একটা স্থূল উদাহরণ দেওয়া যাক। শিশুরা পশুপাখি দেখতে চিড়িয়াখানায় যায়। যে পশুগুলোর বাজারমূল্য বেশি কিংবা যে প্রজাতিগুলো বিলীয়মান—যেমন বাঘ, ভালুক, জেব্রা, জিরাফ ইত্যাদি দেখতে শিশুরা যত না ভিড় করে, তার চেয়ে বেশি ভিড় করে বাঁদরের খাঁচার সামনে। কারণ একটাই; বাঁদর তার বাঁদরামি দিয়ে শিশুদের বিনোদন দেয়। আমরা সাহসী শিশুর তারিফ করে বলি বাঘের বাচ্চা কিংবা সিংহশাবক। আর যারা একটু দুষ্টু, চঞ্চলমতি তাদের বলি শাখামৃগ।


আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো আকাশছোঁয়া। আমরা নির্বাচন কমিশনে বাঘ-সিংহ দেখতে চাই। চাই তাঁরা সাহসের সঙ্গে দাপিয়ে বেড়াবেন। কিন্তু চাইলেই তো সব পাওয়া যায় না! নির্বাচন কমিশন নিয়ে একটা বড় অভিযোগ হলো কমিশনের সদস্যরা সরকারের অনুগ্রহভাজন। তাঁরা সরকারের ইচ্ছার বাইরে পা রাখতে চান না বা সাহস পান না। তাঁরা খুবই প্রভুভক্ত।


এবার বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে তৈরি হলো অনুসন্ধান কমিটি। কমিটির সদস্যরা তো এ দেশেরই সন্তান। তাঁরা কি মানুষ চেনেন না? তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলোকে নামের প্রস্তাব পাঠাতে বললেন। দল তো দলীয় বিবেচনার বাইরে কারও নাম দেবে না। পেশাজীবী সংগঠন আর ‘বিশিষ্ট’ ব্যক্তিদের কাছেও তাঁরা নামের ব্যাপারে প্রস্তাব চেয়েছেন। তাঁদের অনেকেই ‘নিরপেক্ষ’, অনেকেই ‘দলকানা’। তাঁরা তিন শতাধিক নাম প্রস্তাব করেছেন। তালিকা দেখে ঢি ঢি পড়ে গেছে। দেশে এত ‘সোনার মানুষ’!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও