কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লজ্জিত ও ভুক্তভোগী ‘প্রজারা’ আর হত্যাকাণ্ডের বিচার চায় না

প্রথম আলো রুমিন ফারহানা প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৩

‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই’—অপরাধ ঘটলে, বিশেষ করে, সেটা যদি হয় হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়ংকর কিছু, তাহলে গত এক যুগে ভুক্তভোগীর স্বজনদের এই কথাটি বলা একরকম নিয়মে পরিণত হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ আর তাই এর বিচার হওয়ার কথা একেবারেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে। কিন্তু এই দেশে ভয়ংকরতম ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রেও হয় না সেটা, বিচার চাইতে হয়। আর সেটা চাইতে হয় এমন একজনের কাছে যিনি নির্বাহী বিভাগের প্রধান। এ দেশে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কিংবা ক্ষমতার পৃথক্‌করণ বলে যে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সবকিছুর নিয়ন্ত্রণই যে নির্বাহী বিভাগের হাতে, তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাওয়া।


অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাওয়ার মতো পরিস্থিতি সবার হয় না। এই দেশের আনাচকানাচে প্রতিদিন কত খুন হয় কিন্তু কজন সেটার খবর রাখে? কটি খুনই-বা মূল ধারার কিংবা নিদেনপক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে? ভুক্তভোগী ‘ভাগ্যবান’ হলেই কেবল সেটা নিয়ে শোরগোল হয় আর তখনই হত্যাকাণ্ডের শিকার কোনো মানুষের পরিবার-পরিজনের পক্ষে গণমাধ্যমের সামনে বিচার চাওয়া সম্ভব হয়। সাগর-রুনি সেই মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছিলেন। এটি ছিল বাংলাদেশের আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে একটি।


ঢাকায় নিজ বাসায় দম্পতি খুন হওয়া এমনিতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করার মতো ঘটনা কিন্তু দুজনই স্বনামধন্য সাংবাদিক হওয়ায় বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে সারা দেশে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়। সহকর্মী হারানো সাংবাদিকেরা তাঁদের যাবতীয় শোক ও সমবেদনাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাটির সংবাদ ক্রমাগত প্রকাশ করেছেন, ফলে দারুণ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। ঘটনাটি সরকারের ওপর এতটাই চাপ তৈরি করেছিল যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘোষণা দিতে হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সুরাহা করা হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। তারপর সেই ‘ঐতিহাসিক’ ৪৮ ঘণ্টা শেষ হয়ে ৮৭ হাজার ৬০০ ঘণ্টার মাইলফলক পেরিয়ে এলাম আমরা কিছুদিন আগেই।


বাংলাদেশে ঘটনার ঘনঘটা চলে। একটার পর একটা নতুন ঘটনা আসে আর চাপা পড়তে থাকে আগের ঘটনা। কিন্তু সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি আমাদের সামনে নিয়মিত বিরতিতে আসে। কিছুদিন পরপরই আমরা মিডিয়ায় দেখি, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দিয়ে পুলিশ আদালতে গিয়ে সময় চাইছে। গত মাসেই ৮৫তম বার সেটা হয়েছে। আর তাই এই অনুমান করা অযৌক্তিক হবে না যে এই তদন্ত প্রতিবেদন পেছানোর ‘খেলা’ শতক পূর্ণ করে আরও এগিয়ে যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও