‘ফ্রি লাঞ্চ’ অর্থনীতির দিন শেষ
শোভন ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কার্যকর অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণের জন্য বর্তমানের কিছু বিষয়ের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন জরুরি। কিন্তু আমরা যদি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে যাই তাহলে প্রস্তাবটি কঠিন, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়। কেননা নির্বাচিত নেতাদের জন্য খুব সহজেই নিজ নিজ ভোটারদের প্ররোচিত করা সহজ। যেমন ভোটারদের প্রলুব্ধ করা হলো এমন আশ্বাস দিয়ে যে তাদের অফিসগুলোয় আর কোনো বিদ্যুৎ বিল যাবে না বা তারা এখন থেকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন। তবে শোভন একটি নীতির জন্য যারা উদ্যোগী হন বা নির্দিষ্ট পীড়া সহ্য করেন, তারা যে সবসময় পরিবর্তনের মাধ্যমে লাভবান হবেন তা কিন্তু নয়।
তাই বর্তমানের উন্নত অর্থনীতি এমন সব মেকানিজম তৈরি করেছে, যা প্রয়োজনানুসারে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুমতি দেয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গুরুত্বপূর্ণভাবে, রাজনৈতিক দলগুলো অঘোষিতভাবে একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে তারা তাদের সুবিধা অনুযায়ী ওই মেকানিজমগুলোকে কখনো নিষ্ক্রিয় রাখবে এবং কখনোবা ব্যবহার করবে। একটির পর একটি সংকট কেন উদীয়মান বাজারগুলো আন্দোলিত করছে, তার একটি কারণ হলো, তারা ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো তুলে ধরে যে উন্নত অর্থনীতিগুলোও এমন পীড়া আর সহ্য করতে পারছে না। তারাও অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। কারণ তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক ঐকমত্যও সম্ভবত নষ্ট হয়ে গেছে।