পরিবারের সবার কাছে ‘হিরো’ ছিলেন ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করা মহসিন খান
গত বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করা ব্যবসায়ী মহসিন খান ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন বন্ধুবৎসল। দিনের বেশিরভাগ সময় আনন্দে থাকতেই পছন্দ করতেন তিনি। তার মতো প্রাণবন্ত মানুষের আত্নহত্যার ঘটনায় অবাক আত্নীয়স্বজন ও নিকটজনেরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লাশ আনা হয় ধানমন্ডির বাসায়। বাসার গ্যারেজে লাশবাহী ফ্রিজার গাড়ির পাশে কোরআন তেলাওয়াত করা হচ্ছিল দুপুরের পর থেকে। সেখানেই দাড়িয়ে ছিলেন মহসিন খানের মেয়ে জামাই চিত্রনায়ক রিয়াজ। কিন্তু, তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। হাতের মোবাইল দিয়ে লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যানের ছবি তুলছিলেন।
কে জানে এই ছবিই হয়তো পৌছে যাচ্ছিল, গাড়ির ভেতরে চিরনিদ্রায় শুয়ে থাকা মহসিনের খানের ছেলে ও স্ত্রীর কাছে- যারা আছেন সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। প্রাণহীন মহসিন খানের একাকী অন্তীম যাত্রায় আসতে পারছেন না তারা।