করোনায় প্রয়োজন হৃদরোগীদের বাড়তি সচেতনতা

সমকাল প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫৯

করোনায় আক্রান্ত রোগীরা বা এ রোগের কারণে যারা দেশ-বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের ইতিহাস নিলে দেখা যাবে এদের অধিকাংশ অন্যান্য রোগের চেয়ে হদরোগে অধিকহারে আক্রান্ত ছিলেন। তাহলে হৃদরোগীদের করোনার ভয়ংকর ছোবল থেকে বেঁচে থাকা কি আসলেও কঠিন ব্যাপার? যাদের হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কম, তাদের শরীরে এমনিতেই অক্সিজেনের কিছুটা ঘাটতি থেকে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে। তা হলে কি তারা অধিকহারে ঝুঁকিতে রয়েছেন।


হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু হার্টের অসুখের রোগী আছেন, যাদের পেসমেকার বা ভাল্‌ভ রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে। এদের সংক্রমণের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তাই বাড়ির কোনো সদস্যের জ্বর-সর্দি-কাশি হলে এদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। একই সঙ্গে চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ সেবনে যেন কোনো ধরনের গাফিলতি না হয়। অল্পবিস্তর অসুখে চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। বাড়ির বাইরে যাওয়ার কোনো ঝুঁকি নেবেন না। তবে যদি রোগীর হার্টে বড় ধরনের কোনো সমস্যা বা হার্ট অ্যাটাক হয়, কিংবা শ্বাসকষ্ট ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থা হয়, সে ক্ষেত্রে হার্টের চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে এমন কোনো হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।


কভিড-১৯ এর সংক্রমণে মূলত শ্বাসনালি ও ফুসফুস আক্রান্ত হয়। ফলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। অক্সিজেন কমে গেলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। তাই হার্টের সমস্যায় কভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ হলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রোম বা 'এআরডিএস'র ঝুঁকি অত্যন্ত বেড়ে যায়। ফলে সেপটিসিমিক শকে চলে যেতে পারে। তখন রোগীকে ভেন্টিলেটর ব্যতীত সেবাদান করা সম্ভব হয় না। আর এ ক্ষেত্রে রোগীর জীবন সংশয়ের আশঙ্কা বাড়ে। সুতরাং হদরোগীদের আপৎকালীন সময়টিতে শরীরের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।


'আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি' কভিড-১৯ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হার্টের অসুখের রোগীদের জন্য একটি গাইডলাইন মেনে চলার কথা বলেছেন। এই গাইডলাইন অনুযায়ী কারও মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে প্রাইমারি পিটিসিএ বা এনজিওপ্লাস্টি করতে বারণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক হলে থ্রম্বোলাটিক থেরাপি স্ট্রেপ্টোকাইনেজ বা অ্যাটিলেপেটেজ বা নিদেনপক্ষে অ্যাসপিরিন সহকারে সাহায্যে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও