শিশুর ওজন কমে কেন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৩২

‘ফেইলিওর টু থ্রাইব’ কথাটির মানে, যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই শিশুটি ওজনে বাড়ছে না অথবা ওজন কমে যাচ্ছে। প্রায় ৯৪ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো মাত্রার অপুষ্টিতে ভোগে, যার ৩০ শতাংশ হচ্ছে চরম মাত্রার অপুষ্টি। দেশে ১০ শতাংশ শিশু ওজনক্ষয়জনিত সমস্যায় ভুগছে, যেখানে শিশুর ওজন প্রত্যাশিত স্বাভাবিক ওজনের ৬০ শতাংশের নিচে। অপুষ্ট শিশু নিস্তেজ ও কম সক্রিয় থাকে। এ ঝুঁকি এক বছরের কম বয়সী শিশুদের বেশি।


কেন ওজন কমে


শিশুর ওজন কমার প্রধান কারণগুলো হলো সঠিক পুষ্টি না পাওয়া, হৃৎপিণ্ডে জন্মগত ত্রুটি, দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া, বিভিন্ন শারীরিক রোগ ইত্যাদি। অপর্যাপ্ত ক্যালরি, অণুপুষ্টির ঘাটতি, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অসচেতনতা বা পুষ্টির শোষণজনিত অসুখ থেকে শিশুর ওজন কম হতে পারে।


জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হওয়াও একটি কারণ। অকালিক বা প্রিম্যাচিউর শিশুরা কম ওজন নিয়ে জন্মায়। বংশগত কারণে শিশুর কম ওজন থাকতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রে সংক্রমণ, পরজীবী সংক্রমণ, অন্ত্রে প্রদাহ, যকৃতে অসুখ, ক্রনিক হার্ট ফেইলিওর, ফুসফুসের জটিলতা, ব্রংকিয়েকটেসিস, কিডনির জন্মত্রুটি বা সংক্রমণ, হরমোনজনিত রোগ যেমনÑথাইরয়েড বা এড্রিনালের সমস্যার কারণে শিশুর ওজন কমে যায়। এ ছাড়া ক্রোমোজমাল ত্রুটিজনিত বামনত্ব যেমন টারনার সিনড্রোম, কাটা-তালু ও বিভিন্ন জন্মত্রুটি, জন্মগত বিপাকজনিত সমস্যায় শিশুর ওজন কম হয়।


চিকিৎসা ও করণীয়


শিশু ওজনে বাড়ছে না বা ওজন স্বাভাবিক হারে বাড়ছে না—এমন লক্ষণের সঙ্গে শিশুর মানসিক বিকাশ, বুদ্ধি, অন্যান্য দৈহিক বৃদ্ধির পরিমাপ কেমন তা দেখতে হবে। অপরিচ্ছন্নতা, বিষণ্নতা ও অসংলগ্ন আচার-ব্যবহার, খাওয়াদাওয়ার সমস্যা যেমন পাইকা (যেখানে শিশু স্বাভাবিক খাবার গ্রহণের বদলে ছাই, মাটি, কাদা ইত্যাদি খেয়ে তৃপ্তি পায়), বমি, ওগরানো, ডায়রিয়া ও মাংসপেশির শক্ত বা ঢিলেভাব—এসব উপসর্গ থাকতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও