পায়রাবন্দর ঘিরে আশার আলো

যুগান্তর পায়রা বন্দর প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১২:২০

দুইশ মিটার দৈর্ঘ্যরে সমুদ্রগামী জাহাজ ভিড়েছে পায়রাবন্দরে। এর আগে আর এত লম্বা জাহাজ নোঙ্গর করেনি এখানে। কয়লা নিয়ে বৃহস্পতিবার এটি আসে পায়রায়। ৭ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা নিয়ে জাহাজটি যখন বন্দরে ভেড়ে সবার চোখেমুখে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দ। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, ‘আরও গভীর ড্রাফট-র সমুদ্রগামী জাহাজ বন্দরে আনার স্বপ্ন দেখছি আমরা। আশা করছি চলতি বছরই তা সম্ভব হবে। বর্তমানে যে গতিতে ড্রেজিংসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন চলছে তাতে এ বছরের শেষের দিকে এখানে কনটেইনার এবং বাল্ক জাহাজও ভিড়তে পারবে।’


গত বছরের এপ্রিলে হঠাৎ করেই বলা হয় গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে না পায়রায়। গণমাধ্যমে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। কারণ হিসাবে নাব্য জটিলতার কথা বলেন তিনি। বন্দর থেকে রামনাবাদ চ্যানেল হয়ে গভীর সমুদ্রের দূরত্ব প্রায় ৬৫ কিলোমিটার। প্রতিবছরই এই চ্যানেলে জমে বিপুল পলি। সেক্ষেত্রে চ্যানেল চালু রাখতে ড্রেজিং খাতে ফি বছর ব্যয় করতে হবে শত শত কোটি টাকা। তাছাড়া ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেলের গভীরতা ১৪ থেকে ১৫ মিটারে নেওয়া এবং তা অব্যাহত রাখাও দুরূহ বলে তখন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।


সরকারের এই সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে পড়েন বরিশাল-পটুয়াখালী তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। থমকে যায় পায়রা সমুদ্রবন্দর ঘিরে সবার স্বপ্ন। হুমকির মুখে পড়ে এই বন্দর ঘিরে বিভিন্ন বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা হাজার কোটি টাকা। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই পায়রাবন্দরের। কিন্তু আশার আলো যে একেবারই নিভে যায়নি তার প্রমাণ দিতে শুরু করেছে পায়রা সমুদ্রবন্দর। নিয়মিত এ বন্দরে আসছে সমুদ্রগামী জাহাজ। দিন দিন বাড়ছে ভিড়। বাড়ছে রাজস্ব আয়। তাছাড়া পায়রাকে ঘিরে সরকারের নেওয়া প্রায় সব উন্নয়ন পরিকল্পনাই রয়েছে অব্যাহত। শুধু বাদ পড়েছে ‘গভীর’ শব্দটি।


২০১৩ সালের নভেম্বরে জাতীয় সংসদে পাশ হয় পায়রা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ আইন। এরপর দুদফায় ৪৮ একর জমি অধিগ্রহণের পর শুরু হয় বন্দর নির্মাণ। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষে ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রথম আমদানি পণ্য নিয়ে বন্দরে ভেড়ে জাহাজ। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি পায়রাকে। দেশের তৃতীয় এ সমুদ্র বন্দরে ২ বছরে ১৭০টি বিদেশি জাহাজ ভিড়েছে। পণ্য খালাসের মাধ্যমে এ বন্দর আয় করেছে ৩৫০ কোটি টাকা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও