সংসদে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল সরকারি দলের

কালের কণ্ঠ ইফতেখারুজ্জামান প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৩৩

চলতি সংসদের গত তিন বছরের কার্যক্রম নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। তাই সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে এটুকু বলা যায়, এই সংসদের কাছে যতটুকু প্রত্যাশা করা হয়েছিল, ততটুকুই আমরা দেখেছি। এর বাইরে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা সম্ভব ছিল না।


সংসদের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে বিগত দিনে কাজ হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে কমবেশি আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু সেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল সরকারি দল বা জোটের। এ কারণে সংসদে সত্যিকার অর্থে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়নি। সংসদীয় কমিটিগুলো খুব বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। আইন পাস হলেও তা নিয়ে যথাযথ আলোচনা হয়নি।


চলতি সংসদের বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। বিশেষ করে আগের সংসদের তুলনায় বিরোধী দলের অংশগ্রহণ সক্রিয় দেখা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলেছে। কিন্তু সংখ্যা কম হওয়ায় তাদের পক্ষে প্রত্যাশিত সক্রিয় ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের প্রয়াস ছিল, এটি বলতেই হবে।


এই সময়ে সংসদের জন্য কিছু অবমাননাকর ঘটনা ঘটেছে। একজন সংসদ সদস্য দেশের বাইরে কুয়েতে জালিয়াতি, মানবপাচার ও অর্থপাচারের কারণে দণ্ডিত হয়েছেন। কিন্তু সেটি নিয়ে সংসদে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। একটি বিশেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অর্থাৎ ওই এমপির শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সংসদকে কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। শুরু থেকে সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গিতে সংসদে বিষয়টি আলোচনা হওয়ার দরকার ছিল, সেভাবে হয়নি। পরে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংসদ সদস্যরা এ ধরনের জালিয়াতি করতে পারেন—বিয়ষটি নিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল। বিশেষ করে প্রথমবারের মতো বিদেশে একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা থেকে শুরু করে শাস্তি হওয়া—এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে সংসদের যে ধরনের ভূমিকা দরকার ছিল, সেটি আমরা দেখতে পাইনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও