কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শতবর্ষে সলঙ্গা বিদ্রোহ : বিস্মৃত ইতিহাস

যুগান্তর মো. আসাদ উদ্দিন প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৮

মূলত জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা থেকে সূত্রপাত হয় ভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের। জালিয়ানওয়ালাবাগের পথ ধরে ব্রিটিশ বেনিয়াদের নৃশংসতার আরেক রক্তাক্ত অধ্যায় রচিত হয় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায়।


দিনটি ছিল ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি। এলাকার সবচেয়ে বড় হাটের দিন। এদিন সেখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। সমগ্র ভারতবাসীর জন্য রক্তাক্ত বিদ্রোহের ঐতিহাসিক এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন। ব্রিটিশ সৈন্যদের রাইফেলের গুলিতে রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল সলঙ্গার মাটিতে। অগণিত মানুষের করুণ আর্তচিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। সলঙ্গার নির্মম এ ঘটনাকে কেউ কেউ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের চেয়েও ভয়ংকর ও হৃদয়বিদারক বলে উল্লেখ করেছেন। ইতিহাস এ দিনটিকে ‘রক্তাক্ত সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।


সলঙ্গা বিদ্রোহের বয়স আজ ১০০ বছর। এই ১০০ বছরে অর্জন বলতে দিবসের স্বীকৃতিমাত্র! কিন্তু সলঙ্গা আজ বিস্মৃতির আড়ালে হারাতে বসেছে। ২৭ জানুয়ারির সলঙ্গা বিদ্রোহের নেপথ্য নায়ক ছিলেন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ। তর্কবাগীশ ও সলঙ্গা বিদ্রোহ অবিচ্ছেদ্য। তার সম্পর্কে দুকলম না বললে অন্যায় হবে। তাকে সবাই ভাষা আন্দোলনের সিংহপুরুষ হিসাবে জানে। তিনি দেওবন্দ মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালে বাঙালি ছাত্রদের অধিকার আদায়ে গঠন করেন ‘আজাদী সমিতি’। লাহোরের বিখ্যাত এশায়েতুল ইসলাম কলেজে অধ্যয়নকালে ‘তর্কবাগীশ’ উপাধিতে ভূষিত হন। পরবর্তী সময়ে দরিদ্র কৃষক সমাজের কল্যাণে গঠন করেন ‘নিখিল বঙ্গ রায়ত খাতক সমিতি’। সমিতির সেক্রেটারি হন তিনি নিজে এবং সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। এ সমিতির আন্দোলনেই গঠিত হয় ঐতিহাসিক ‘ঋণ সালিশি বোর্ড’। এরপর তিনি যোগ দেন মুসলিম লীগে। অবিভক্ত বাংলায় ১৯৪৬ সালে এমএলএ নির্বাচিত হন। ভাষা আন্দোলন চলাকালীন ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সংগ্রামরত ছাত্রদের ওপর পুলিশ গুলি করলে প্রতিবাদে পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদে তিনি একাই ঝলসে ওঠেন। তিনি সেখানে বলেন, ‘ছয়জন ছাত্র মৃত্যুশয্যায়, তখন আমরা পাখার নিচে বসে হাওয়া খাব-এ আমি বরদাশ্ত করতে পারি না। আমি জালেমের এই জুলুমের প্রতিবাদে এ পরিষদগৃহ ত্যাগ করছি।’ পরবর্তী সময়ে তিনি গ্রেফতার হয়ে ১৮ মাস কারাবন্দি থাকেন। আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত। ১৯৭০ সালে তিনি এমএনএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২ সালে জাতীয় পরিষদের প্রথম সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের বিরোধিতা করেন। ১৯৭৬ সালে ‘আজাদী লীগ’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও