প্রস্তাবিত ইসি আইন এক অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতা

প্রথম আলো বদিউল আলম মজুমদার প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:১২

১৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে একটি আইনের খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে, পরবর্তী সময়ে ২৩ জানুয়ারি যা বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করা হয়। নয়টি ধারাসংবলিত প্রস্তাবিত আইনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:


১. আইনে প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির সভাপতিত্বে ছয় সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধান রয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক। ২. কমিটি রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে কমিশনে নিয়োগের জন্য নাম আহ্বান করবে এবং ১০ জনের নাম ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। ৩. সুপারিশকৃত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিক, ন্যূনতম ৫০ বছর বয়স্ক এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি পদে অন্যূন ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হবে। ৪. সরকারের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে। ৫. আগে গঠিত ‘অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।’


আইনের খসড়াটি নিয়ে এরই মধ্যে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে: প্রথমত, আমাদের সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে আইনের ‘বিধানাবলি সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেওয়ার বিধান থাকলেও গত ৫০ বছরে এ আইন প্রণীত হয়নি, যার জন্য অনেক দিন ধরেই সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) পক্ষ থেকে আমরা সোচ্চার ছিলাম। এ লক্ষ্যে একটি আইনের খসড়া আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে গত ১৮ নভেম্বর হস্তান্তরও করেছিলাম। সে সময়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, আইনটি প্রণয়নের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। কিন্তু এখন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষের মাত্র এক মাস আগে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই মন্ত্রিসভা আইনটির খসড়া অনুমোদন করে, যার ফলে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেরই মনে গুরুতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।


দ্বিতীয়ত, আইনমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, সংসদকে পাশ কাটিয়ে আইনটি প্রণয়ন করা ঠিক হবে না। কিন্তু প্রস্তাবিত বিলে অনুসন্ধান কমিটিতে সংসদের কোনো প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি এবং নামগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রচলিত প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কোনো বিশেষ সংসদীয় কমিটির কাছে প্রেরণেরও বিধান নেই। আমাদের প্রস্তাবিত খসড়ায় তিনজন সাংসদ রাখার বিধান রয়েছে, যার মধ্যে একজন হবেন সংসদ নেতার, একজন বিরোধী দলের নেতার এবং অন্যজন সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের মনোনীত, যার ফলে আইনটি প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রথাগত ভূমিকার বাইরেও সংসদের গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ সংশ্লেষ থাকবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও