বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ জ্বালানি সহযোগিতা অর্থনৈতিক নাকি ভূরাজনৈতিক
বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে গত এক দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে নানা আঙ্গিকে সহযোগিতা বেড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, কয়লা সরবরাহের পাশাপাশি বাংলাদেশে সরাসরি বিদ্যুৎ রফতানিও করছে দেশটি। শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানিও। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারত-বাংলাদেশের এ সহযোগিতার সম্পর্কটিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকদের অনেকেই। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এতে রয়েছে ভূরাজনৈতিক কারণও।
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ভারতের অর্থায়নে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন ভারতীয় সহযোগিতায় নির্মিতব্য চার হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। দু-তিন বছরের মধ্যে এসব প্রকল্প উৎপাদনে আসবে। এছাড়া বাংলাদেশের আমদানিনির্ভর জ্বালানি খাতে গুরুত্ব বাড়িয়েছে ভারত। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল রফতানির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ লাইনের মাধ্যমে বছরে অন্তত ১০ লাখ টন জ্বালানি তেল রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ ছাড়া বিদ্যুৎ খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে আগ্রহী হয়ে উঠেছে ভারত।
গত এক দশকে চীনের উত্থান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাব হ্রাস, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারে ভারতের প্রচেষ্টা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির কারণে পরাশক্তিগুলোর কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে।