ক্ষমতা রাজনীতিকদের হাতে থাকছে না কেন

সমকাল প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৩২

রাজনীতিকদেরই ভালো জানার কথা- রাষ্ট্রের ওপর আসল কর্তৃত্ব কার। কর্তৃত্ব জনগণের হওয়ারই কথা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র; তার মালিকানা জনগণের হবে- এটাই প্রতিশ্রুতি। কিন্তু তা হয়নি। রাষ্ট্র এ যুগে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায়। রবীন্দ্রনাথের উপমাটি খুব সুন্দর। কেবল উপমা নয়, আকাঙ্ক্ষাও। খুব ভালো হতো রাষ্ট্র যদি হতো ডিমের খোসার মতো। ডিমের খোসা খুবই জরুরি, যাকে ছাড়া ডিম চলে না। ভেতরের সারবস্তুকে ঘিরে রাখে, পাহারা দেয়। খোসা আছে বলেই ডিমের ভেতর প্রাণের জন্ম হয় ও নিরাপদ অস্তিত্ব জানা যায়। কিন্তু এমনিতে খোসার দাম কী? ডিম থেকে আলাদা করে ফেললে ডিমের খোসাকে কে মূল্য দেয়? রাষ্ট্র জনগণের জন্য প্রয়োজনীয়, কিন্তু জনগণের সেবকমাত্র, তার বেশি কিছু নয়। কিন্তু সেটা হয় না। রাষ্ট্র হয়ে দাঁড়ায় অন্তর্গত জনসাধারণের শাসক; তা সে পিতার মতো হোক কিংবা দৈত্যের মতো।


এ প্রশ্নও ওঠে- মালিক কে? এই যে পিতা কিংবা দৈত্য তার ওপর কর্তৃত্ব কার? রাজনীতিক অনেকেই আগে যা-ই মনে করে থাকুন কিংবা প্রকাশ্যে যা-ই বলুন না কেন, এখন অনেকেই স্বীকার করেন, রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব জনগণের হাতে নেই। যারা জনপ্রতিনিধি মনে করেন নিজেদের, তারাও মনে করেন, কর্তৃত্ব তাদের হাতে নেই। রয়েছে আমলাতন্ত্রের হাতে। কিছুদিন আগে জাতীয় সংসদে এ প্রসঙ্গে ব্যাপক হৈচৈ হয়ে গেল। তারপর সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন-বিশ্নেষণ, বুদ্ধিজীবীদের লেখার মাধ্যমে এর নানা ব্যাখ্যা হলো। কিন্তু বিষয়টি মিইয়ে যেতেও খুব সময় লাগল না। মনে পড়ছে, পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ছিল কিছুটা ভিন্ন রকমের। ওখানেও সামনে রাজনীতিকরাই ছিলেন বটে, কিন্তু তাদের চেয়ে আমলাতন্ত্রের সদস্যরা ছিলেন শক্তিশালী। শাসন তো করত মূলত সামরিক ও বেসামরিক আমলারা।


বিপুল আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাজনীতিকরাই পেলেন ক্ষমতা; কিন্তু ধরে রাখতে পারলেন না। কারণ রাজনীতিকরা সুসংগঠিত ছিলেন না। তাদের মধ্যে বিভেদ ছিল প্রবল। ভেতরে-বাইরে চাপ ও সমস্যা ছিল বহুবিধ। ভেঙে পড়েছিল অর্থনীতি, দেখা দিয়েছিল দুর্ভিক্ষ। এর পর তো অনেক কিছুই ঘটে গেল। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটল ভয়াবহ, মর্মন্তুদ ও বিয়োগান্ত ঘটনা। স্বাধীন দেশে রাজনীতি পথহারা হয়ে গেল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও