কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গ্যাস হাইড্রেট কি জ্বালানি রক্ষাকবচ?

সমকাল এম শামসুল আলম প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১০:২৬

১.


গত ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে 'গ্যাস হাইড্রেট' নামক কঠিন পদার্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কঠিন পদার্থ থেকে মিথেন গ্যাস পাওয়া সম্ভব। এই সংবাদ সম্মেলনের সূত্রে সংবাদমাধ্যমগুলো বঙ্গোপসাগরে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার খবর মহা সমারোহে প্রচার করে। এতে জনগণ যে ধারণা পায়, তা দুর্ভাগ্যজনক ও বিভ্রান্তিকর।


২.


গ্যাস হাইড্রেট মিথেন ও পানি মিলিয়ে গঠিত একটি কঠিন পদার্থ। এমন পদার্থে সমৃদ্ধ অনেক দেশই। পানি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিলিয়ে গঠিত একটি তরল পদার্থ। তা থেকে আহরিত হাইড্রোজেনকে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। প্রযুক্তি সহজলভ্য হলে নিশ্চয়ই হাইড্রোজেন বিকল্প জ্বালানি হিসেবে বাজারে আসবে। পরিবেশ সংরক্ষণে কার্বনমুক্ত জ্বালানি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কিন্তু জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এই জ্বালানি এখনও বিবেচনায় আসেনি। গ্যাস হাইড্রেটে সম্পৃক্ত মিথেনকে জ্বালানি নিরাপত্তায় গ্যাসের বিকল্প হিসেবে সুদূর ভবিষ্যতেও বিবেচনা করা সম্ভব হবে না। কারণ আগামী পৃথিবীর অর্থনীতি কার্বনমুক্ত জ্বালানিনির্ভর হবে। শুধু পরিবেশ সুরক্ষাই নয়; বাণিজ্যিক বিবেচনায়ও বাজার প্রতিযোগিতায় কোনো ফসিল ফুয়েল আগামীতে টিকে থাকতে পারবে না। তাই গ্যাস হাইড্রেটের মতো জ্বালানির উৎস উন্নয়নে বিনিয়োগ পাওয়া কঠিন হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত বঙ্গোপসাগরে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার ঘোষণায় জ্বালানি সমস্যা সমাধানে কোনো আশার আলো আছে- এমনটি বলা যায় না।


৩.


সরকার ২০০৭-০৮ সালে বঙ্গোপসাগরে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিন হাজার ৫০০ লাইন কিলোমিটার এবং ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় প্রায় তিন হাজার লাইন কিলোমিটার সিসমিক ও ব্যাথিম্যাট্রিক জরিপ সম্পন্ন করে। এ দুটি জরিপে ৩৫০ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে মহিসোপানে ছয় হাজার ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সমুদ্র অঞ্চলে থাকা সম্পদ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। সেসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে 'ডেস্কটপ স্টাডি' করা হয়। এই ডেস্কটপ স্টাডি গ্রুপ যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফি সেন্টারের সহায়তায় তিন বছরে ওই স্টাডি শেষ করে। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাতে এর অবস্থান, প্রকৃতি ও মজুত সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। সেই ধারণা থেকেই বলা হচ্ছে, জরিপকৃত এলাকায় মজুত গ্যাস হাইড্রেট ১৭ থেকে ১০৩ টিসিএফ প্রাকৃতিক গ্যাস মজুতের সমতুল্য। বাংলাদেশের মহিসোপানের সমগ্র এলাকায় সিসমিক জরিপ করা হলে সে মজুতের পরিমাণ আরও বেশি হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও