ওমিক্রন মোকাবেলায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে
১৩৪০ সাল নাগাদ ‘ইয়ারসিনিয়া পেসটিস’ নামের জীবাণু ‘প্লেগ’ রোগ নামে (ব্ল্যাক ডেথ) মধ্য এশিয়ায় মোঙ্গল বাহিনীর বিস্তীর্ণ সমতলে গবাদি পশুর আস্তাবল থেকে ছড়িয়ে কৃষ্ণসাগর পেরিয়ে ইউরোপের বাণিজ্য রুট ধরে আবার ইরান, মিসর, মধ্যপ্রাচ্য ও আরব পেনিনসুলা আক্রান্ত করেছিল।
জীবাণুটির মূল বাহন ছিল ইঁদুর ও উট।
১৩৪৮ সাল নাগাদ জীবাণুটি ব্রিটেন থেকে বাণিজ্য জাহাজের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তা চালান হতে থাকল। সেই সূত্রে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে সাইপ্রাস ও মিসরের সমুদ্রবন্দরে হজযাত্রীদের মাধ্যমে তা মক্কায় পৌঁছে।
দামেস্কের পণ্ডিত ইবনে আল ওয়ার্দির ‘রিসালাত আল নাবা’তে উল্লেখ আছে, সপ্তম শতকে মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে প্লেগ নামের রক্তবমি ও কালাজ্বরের এই প্রাণঘাতী রোগ দেখা দেওয়ার পর হজরত মুহাম্মদ (সা.) সাবধান করে বলেছিলেন, ‘আর যাই হোক এই রোগ পবিত্র কাবা শরিফে ঢুকতে পারবে না।’
তত দিনে কায়রো, প্যালেস্টাইনে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল।
ইউরোপে ১৩৫০ সালে এই রোগ থেকে বাঁচতে ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড প্রাক-ইসলামী যুগের মুসলমানদের নিয়মে রোজা রাখতে নিয়ম জারি করলেন। তাঁর ধারণা, পুরনো আরবি চিকিৎসা প্রণালী অনুসারে খালি পেটে দিনে ১১ বার উপাসনা করলে ক্ষত ঘা থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে।