গ্রামীণ ব্যাংককে কর দিতে হবে

সমকাল প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:২০

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আয়কর অব্যাহতি সুবিধা তুলে নিচ্ছে সরকার। ২০২১ সালের আয়ের ওপর প্রচলিত নিয়মে কর পরিশোধ করতে হবে বিশেষ আইনে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটিকে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গ্রামীণ ব্যাংককে কর পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছে। জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল মজিদ সমকালকে বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কর অব্যাহতি ছিল। এরপর ব্যাংকের পক্ষ থেকে অব্যাহতি সুবিধা বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু সে আবেদনে সাড়া না দিয়ে এনবিআর কর পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের আয় করের আওতায় আনা হলে এর সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের একেবারেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাজ বা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষাঋণ, গৃহঋণ, ভিক্ষুকদের ঋণ দেওয়ার মতো কিছু সামাজিক কাজও রয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের। আয় থেকে কর নেওয়া হলে এ ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্ভব হবে না।


প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিঃশর্তভাবে কর মওকুফ সুবিধা পেয়ে আসছে গ্রামীণ ব্যাংক। দীর্ঘদিন আয়করসহ অন্যান্য কর দিতে হয়নি প্রতিষ্ঠানটিকে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ধরনের কর পরিশোধ করতে হবে না বলে সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল। ক্ষুদ্রঋণকে উৎসাহিত করতে ২০০০ ও ২০০১ সালে ট্রাস্ট এবং লিগ্যাল অবলিগেশন কর্তৃক পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণের আয়কে মোট আয় নির্ধারণে অন্তর্ভুক্তি করা থেকে শর্তহীনভাবে অব্যাহতি প্রদান করে সরকার। পরবর্তী সময়ে এই অব্যাহতিকে আরও সুনির্দিষ্ট করার লক্ষ্যে সরকার অর্থ আইন-২০০২ এর মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪ এ ৪৪(১) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে। এই সংযোজনীর ফলে নিবন্ধিত এনজিওগুলো ক্ষুদ্রঋণের আয়ের ওপর থেকে আয়কর অব্যাহতি পেয়ে আসছে। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক আইন-২০১৩ এর ৩২ ধারায়ও কর ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক মূলত ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে থাকে। অন্যান্য ক্ষুদ্রঋণের আয় করমুক্ত। ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের আয়ও করমুক্ত হওয়াই উচিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও