৩৫ বছর ধরে স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার করছেন সুভাষ

ঢাকা পোষ্ট নাজিরাকোনা, মুজিবনগর উপজেলা, মেহেরপুর প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৩৪

যেতে পারেননি মুক্তিযুদ্ধে। ভাষা অন্দোলনের সময়ও যোগ দিতে পারেননি। শুধু গল্পে শুনেছিলেন দেশ স্বাধীন ও ভাষা অন্দোলনে কত মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন, কত বুদ্ধিজীবীকে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে। আর এরই প্রতিকৃতি দেখেছেন মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে।৩০ লাখ শহীদেরর স্মৃতি স্মরণে নমুনা পাথর বসানো রয়েছে থরেথরে। পাশাপশি এক লাখ শহীদ বুদ্ধিজীবীর মাথার খুলির আদলে বসানো হয়েছে পাথর। এগুলো দেখেই মায়া ও দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত হয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান রেখে স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার করার জন্য হাতে তুলে নেন ঝাড়ু। দর্শনার্থীদের ফেলে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কার করে শহীদদের স্মৃতি সম্বলিত এই স্থানটি ৩৫ বছর পরিচ্ছন্ন রেখেছেন তিনি। নিবেদিত এই মানুষটি হলেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের মৃত অনিল মল্লিকের ছেলে সুভাষ মল্লিক। 


জানা গেছে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধের পুরো এলাকা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কা করের রাখেন। অবৈতনিকভাবে স্মৃতিসৌধ ঝাড়ু দেওয়ায় অনেক সময় বিদ্রুপ করত এলাকাবাসী। তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি। বয়স বেড়েছে তবুও ঝাড়ু হাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যস্ত থাকেন। শুধু ঝাড়ু দেওয়া নয়, দর্শনার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ, প্রথম রাজধানী ও স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকারের নানা বিষয়ে গাইড দিয়ে থাকেন। নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা সুভাষ মল্লিকের মুখে শোনেন মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও স্মৃতি কমপ্লেক্সের নানা কথা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও