আইএমএফের কঠিন শর্ত ঋণ নেবে না সরকার
রাজনৈতিক স্পর্শকাতর’ শর্ত দেওয়ায় টিকা কেনা, জরুরি আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য এবং বাজেট ঘাটতি মেটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৭৩২ মিলিয়ন ডলার ঋণ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এই অর্থ সংস্থাটির কাছ থেকে নেওয়া ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি। অর্থ বিভাগের সঙ্গে গত সপ্তাহে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদলের ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ তার এই অবস্থানের কথা জানায়।
গত বছরের ২৯ মে র্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি এবং র্যাপিড ফিন্যান্সিং ইনস্ট্রুমেন্টের (আরএফআই) অধীনে বাংলাদেশকে জরুরি সহায়তা বাবদ প্রথম কিস্তিতে ৭৩২ মিলিয়ন ডলার দেয় আইএমএফ। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ছয় হাজার ২৭৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯২০ টাকা। চলতি মাসে দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে আরো ৭৩২ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ছিল আইএমএফের।
করোনার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সম্ভাবনা ধরে রাখতে আইএমএফ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা দিচ্ছিল সংস্থাটি। প্রথম কিস্তির ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বাংলাদেশ স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা ও সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতা, জরুরি ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চাহিদা এবং ঘাটতি মেটাতে ব্যবহার করেছে।