![](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2021October/sarowar-ali-20211215173126.jpg)
সুবর্ণজয়ন্তী : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধ শতবর্ষ পর প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি বিস্ময়কর। বিজয়ের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছিলেন। দেশ ছিল আমদানি-নির্ভর, এক তৃতীয়াংশ খাদ্য আমদানি করতে হতো, দারিদ্র্য সীমারেখার নিচে ছিল শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় শূন্যের কোঠায়। জনসংখ্যা ১৯৭২ এর সাড়ে সাত কোটি থেকে বর্তমানে প্রায় সতেরো কোটিতে পরিণত হয়েছে। অথচ, বর্তমান অর্থবছরে বাজেট ছয় লাখ কেটি টাকা, খাদ্য উৎপাদনে আমরা কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া স্বনির্ভর।
করোনা পূর্বকালে দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থান করছে বিশ শতাংশ, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানত, প্রবাসী আয়ে স্ফীত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এতটায় উন্নত হয়েছে যে, আমরা শ্রীলঙ্কাকে বৈদেশিক মুদ্রার সক্ষমতায় সহায়তা করেছি।