রাজনীতি-গণতন্ত্রে কাঙ্খিত লক্ষ্য বহুদূর!
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বাংলাদেশের রাজনীতি আর গণতন্ত্র কতদূর এগিয়েছে? যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে এখনও আমরা বহুদূরে!
কেউ কেউ তো বলছেন, আমরা উল্টোপথে চলছি৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে আমরা বহুদূর সরে গেছি৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের এখানে গণতন্ত্রের ধারণাই হারিয়ে গেছে৷ অর্থনীতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে সত্যি৷ কিন্তু এখন যারা নির্বাচিত হচ্ছেন তারা তো রাজনীতিকে ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছেন, কাজ করছেন অর্থ উপার্জনের মানসিকতা নিয়ে ৷কিছু ব্যতিক্রম নিশ্চয় আছে৷ ১৯৮০ এর দশক থেকে আওয়ামী লীগ-বিএনপি গণতন্ত্রকে নির্বাচনতন্ত্র বানিয়ে ফেলেছে৷ এটাকে কী গণতন্ত্র বলা যায়? গণতন্ত্র একটা আদর্শ, যা একটু একটু করে বিকশিত হবে৷ আমাদের গণতন্ত্রের ধারণা সীমাবদ্ধ হয়েছে নিতান্ত নির্বাচনের মধ্যে৷
আর নির্বাচন যেটা হচ্ছে, সেটা গ্রহণযোগ্য না৷ আমরা ধারণা করেছিলাম, আস্তে আস্তে আমরা গণতন্ত্রের দিকে যাব৷ কিন্তু গণতন্ত্র এখান থেকে হারিয়ে গেছে৷ অনেকে সমাজতন্ত্রের চিন্তা করতেন, সেটাও সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হওয়ার পর হারিয়ে গেছে৷ তবে আমরা আশা করি, অবস্থা এমন থাকবে না, পরিস্থিতির উন্নতি হবে৷ এখন একটা বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা৷ যে মানুষ বঞ্চনার শিকার সে এক সময় অবশ্যই প্রতিবাদে এগিয়ে আসবে৷”