অতিমারির অভিজ্ঞতার আলোকে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি
করোনার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংকট ছিল ২০০৮-০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দা। জনজীবনে সেই আর্থিক সংকটের প্রভাব ব্যাপক ছিল না, কিন্তু কভিড অতিমারির প্রভাব স্বাস্থ্যসহ সর্বক্ষেত্রে দৃশ্যমান। অতিমারি মোকাবিলায় কোনো কোনো দেশ তুলনামূলক ভালো করলেও অনেকেই তত ভালো করেনি। অনেকে আবার প্রথম ধাক্কায় ভালো করেছে, কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কায় দুর্বল হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আছে তৃতীয় ধাক্কার শঙ্কা। কীভাবে তা মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা।
অতিমারি মোকাবিলার সক্ষমতা সবার সমান নয়। সক্ষমতা কিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এর সঙ্গে আর্থিক সামর্থ্যের যোগ আছে। যেসব দেশে সাধারণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত, সেসব দেশ তুলনামূলক ভালো করেছে অতিমারি মোকাবিলায়। দ্বিতীয়ত, যেসব দেশে আর্থিক ব্যবস্থা উন্নত, তাদের পক্ষে অসহায় মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, আর্থিক সামর্থ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা থাকার পরও সব দেশ তা সমানভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতার অভাব, তথ্যের অপ্রতুলতা ও সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল।