কোথায় যেন গলদ রয়েই গেছে
আমরা প্রায়ই অমুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সংখ্যালঘু শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। সেসব সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত বা অবচেতন মনে তাদেরকে প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা সংখ্যায় কম। তাই তাদের প্রতি উদার আচরণ করা প্রয়োজন। একজন মানুষকে তার কষ্টের কথাটি বারবার মনে করিয়ে দিয়ে সহানুভূতি দেখালে যেমন হয়, ব্যাপারটি ঠিক তেমনই। একটি গণতান্ত্রিক সভ্য রাষ্ট্রে সাংবিধানিক চেতনা অনুসারে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু বলে কোনো সম্প্রদায় থাকতে পারে না—সবাই রাষ্ট্রের নাগরিক। আর ধর্ম বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে কোনো রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক উদার বা সহানুভূতিশীল আচরণ আশা করে না, আশা করে সমান আচরণ। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু ভাবনার বিষয়টি আরো অবান্তর। কেননা, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে। কাজেই বাংলাদেশে যদি সংখ্যালঘু বলে কোনো গোষ্ঠী থেকে থাকে, তারা অনিবার্যভাবেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী অংশ। কিছু লোক এখনো নিজেদেরকে পাকিস্তানি সংস্কৃতির ধারক ভাবতে পছন্দ করে। তাদের মনের মধ্যে এখনো পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক দর্শন বিরাজমান। এখনো তাদের চিন্তা-দর্শন আর রাজনৈতিক অস্তিত্বের রসদ আসে পাকিস্তান থেকে।