করোনার প্রভাবে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা
''আমি কি পাগল যে মনোবিদের সঙ্গে কথা বলতে যাবো?''-- অতি সম্প্রতি এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাবার সঙ্গে কথা বলার সময় এই মন্তব্য শুনতে হলো। বছর সত্তরের ভদ্রলোক দুই বছর আগেও দিল্লি এসে আমার বাড়িতে দিনকয়েক কাটিয়ে গেছেন। চমৎকার রান্না করেন। বেড়াতে ভালোবাসেন। এককথায় হুল্লোড়ে। সেই তিনি-ই গত দেড়বছরে একদিন মাত্র বাড়ির বাইরে পা রেখেছেন। করোনার ভয়ে। বাড়িতে কাউকে আসতে দেন না। অন লাইনে অর্ডার এলে সবকিছু বারান্দায় রোদের মধ্যে ফেলে রাখেন অন্তত দুই দিন। সবজি-পাতি শুকিয়ে কালো হয়ে গেলে রান্না ঘরে ঢুকতে দেন। গত দেড় বছর ধরে প্রতিদিন ভিটামিন, জিঙ্ক সহ একাধিক ওষুধ খেয়ে চলেছেন করোনা রুখতে। হাইপার টেনশন ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। কিন্তু ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন না। করোনায় মৃত্যুর আশঙ্কা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কার্যত কোনো কথা বলছেন না।