বিবেক ও সভ্যতার লজ্জা পাওয়ার দিন ২৬ সেপ্টেম্বর

কালের কণ্ঠ মো. জাকির হোসেন প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:৪৭

১৯৭৫ সালের এই দিনটিতে বাংলাদেশের কিছু দুর্বৃত্ত বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছিল। বর্বর এই আইনটি কোনো পরিবার বা দেশের বিরুদ্ধে নয়, এটি বিশ্ব বিবেক ও মানবসভ্যতার বিরুদ্ধে। দেশে দেশে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, এমনকি রাষ্ট্রের স্থপতিও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। খুনিরা অজ্ঞাতপরিচয়ের হলেও রাষ্ট্র তাদের খুঁজে বের করে বিচার করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনিরা হত্যাকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে বলেছিল, ‘আমরা শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি।’ এর পরও খুনিদের বিচার না করে দায়মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাস তন্নতন্ন করে খুঁজেও এমন আরেকটি উদাহরণ পাওয়া যাবে না যেখানে আইন প্রণয়ন করে বলা হয়েছে খুনিদের বিচার করা যাবে না। শুধু বর্বর বললেও এই আইনের প্রতি উপযুক্ত ঘৃণা প্রকাশ হয় না। কেননা নৃশংস হত্যাকাণ্ড বা অন্য কোনো ঘৃণ্য অপরাধকে আমরা বর্বর বলে থাকি, কিন্তু একটি রাষ্ট্রের স্থপতি, জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর যদি আইন করে সেই হত্যার বিচার রুদ্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে এ ধরনের আইনকে বিশেষায়িত করতে কী উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করবেন? জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ৪২ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর এই ঘৃণ্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সভ্যতা ও বিবেককে লজ্জাবনত করে যে ভয়ংকর কালো আইন, সেই অধ্যাদেশের মূল কথা হলো—১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্ট, সকালে যেসব ব্যক্তি যেসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল এবং ঘটানোর পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা শৃঙ্খলাজনিত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট ও কোর্ট মার্শালেও তাদের বিচার করা যাবে না। সোজা কথায় ওই তথাকথিত অধ্যাদেশ দ্বারা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে এবং হত্যার পরিকল্পনা করেছে তাদের সব ধরনের আইনের আওতা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনায় কেউ বিচার চাইতে পারবে না। খুনিদের যাতে বিচার করা না যায় এবং হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের নাম যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্যই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন খুনি মোশতাক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও