![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2021-09%252F6d341b88-9dbd-4202-b424-49dcc079eeb7%252Fmasuk_art_palo.jpg%3Frect%3D0%252C57%252C3000%252C1575%26w%3D1200%26ar%3D40%253A21%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue%26mode%3Dcrop%26overlay%3Dhttps%253A%252F%252Fimages.prothomalo.com%252Fprothomalo-bangla%252F2020-11%252F54141ce1-65f9-4c75-b13f-9fdce8bbd3dc%252Ffacebook_post_banner__1_.jpg%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_width_pct%3D1)
চোরের দশ দিন যায়, গেরস্তের এক দিন আসে না
চোর যখন টের পায় গেরস্তের বুদ্ধি বাড়ার চান্স নাই, তখন সে আর পালায় না। সে তখন প্রথমে টুক করে গেরস্তের ঘটি চুরি করে বুক চিতিয়ে ঘোরাফেরা করে। গেরস্ত যখন টের পায়, ততক্ষণে ঘটি বেচে খাওয়া শেষ। গেরস্ত চেঁচামেচি করে ‘সিন করে’ বসলে বা চোরকে ধরে ধোলাই দিতে গেলে আশি-নব্বই দশকের বাংলা ছবির শেষ দৃশ্যের মতো চোরের মাসতুতো ভাই চৌকিদার ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না’ বলতে বলতে এসে হাজির হয়। সে চোরকে খানিক বকাঝকা করে অতি স্নেহসিক্ত শাসনের সুরে বলে, ‘মাসুদ, তুমি কি ভালো হবা না?’ এরপরও ঘটির শোকে গেরস্ত ফোঁপাতে থাকলে চৌকিদার বলতে থাকে, ‘ফোঁপান ক্যান? ঘটি গেছে তো কী হইছে? বাটি তো আছে। আমি তো আছি। চোর আর ঢুকতে পারবে না। এই যে আমি তারে পাকড়াও করলাম। আপনি নো টেনশনে ঘুমান।’ গেরস্ত ভাবে, কথা তো খারাপ না। বাটি তো আছে। সে ‘নো টেনশনে’ ঘুমায়। পরের রাতে দেখে বাটি নাই। তারপর আবার চেঁচামেচি। আবার চৌকিদারের আগমন। আবার ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না’। আবার ‘মাসুদ, তুমি কি ভালো হবা না?’ বলে শাসানো। শেষমেশ গেরস্তকে চৌকিদারের ধমক, ‘মিয়া, ঘটি-বাটি সাবধানে রাখতে পারেন না!’
- ট্যাগ:
- মতামত
- প্রতারণা
- ই-কমার্স
- এমএলএম ব্যবসা