পকেটে তারা টাকার বান্ডিল পুরতে চায়, কৃষ্ণচূড়া নয়
কৃষ্ণচূড়া গাছটি তারা কেটে ফেলল। বিষয়টি যারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন, তাঁরা বলবেন, ‘ওদের কি একটুও হাত কাঁপল না!’ আবার পরক্ষণে এ-ও ভাবনায় আসবে, এ দেশে গাছ কাটা তো সহজ কিংবা মন চাইলেই যখন যেখানে ইচ্ছা গাছ কেটে ফেলা যায়, এতে হাত কাঁপার কী আছে। ফলে কৃষ্ণচূড়াগাছটিও কাটতে গিয়ে তাদের হাত কাঁপেনি। তবে অনেকের ঠিকই মন কেঁপে উঠেছে। সেটিই তো হওয়ার কথা। দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকার পর আর সপ্তাহ তিনেক পরেই খুলতে যাচ্ছে ক্যাম্পাস।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা এসে কৃষ্ণচূড়াগাছটি আর দেখতে পাবেন না। তাঁদের স্বাগত জানাবে না লাল ফুলের ঝালর হয়ে থাকা গাছটি। লাইব্রেরির সামনে থেকে সোজা তাকালেই সবুজের মাঝখানে আলো করে থাকা সে গাছ আর নেই। ডাকসুর ক্যানটিনের সামনে দিয়ে হেঁটে গিয়ে বা মধুর ক্যানটিন থেকে ডাকসুর পেছন কোনাটা পার হয়েই রাস্তা ছেয়ে যাওয়া লাল ফুলের সেই চিরায়ত দৃশ্য আর কখনো দেখা যাবে না।