আমলা লীগ জয় বাংলা আমলাতন্ত্র জিন্দাবাদ
এক সচিবের মা অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি হলেন। মন্ত্রণালয়ের আদেশে ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী হাসপাতালে ডিউটি করলেন। তাদের কাজ ছিল প্রতিদিন সচিবের মায়ের চিকিৎসাসেবায় সহায়তা করা এবং কী কাজ করলেন তা সচিবের পিএসকে জানানো। ঘটনা জানাজানির পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বলেছেন, এমন নির্দেশ জারি হয়নি মন্ত্রণালয় থেকে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এমনিতে যেতেন দেখতে। সাংবাদিকরা হাসপাতালে সরেজমিন প্রত্যক্ষ করে মন্ত্রণালয়ের লোকজনকে পেয়েছেন ডিউটি করতে। বড় অদ্ভুত একটা সমাজে বাস করছি। চারদিকে শুধু ক্ষমতাবান মানুষ দেখি। সীমাহীন দাপট দেখি। অনেক রাজনীতিবিদের দীর্ঘশ্বাস শুনি। আমলা লীগ স্লোগান শুনি। একদা জিন্দাবাদ শুনতাম তাদের মুখে। মাঠপর্যায় থেকে সচিবালয়ে একটা আমলা যুগ চলছে। ক্ষমতা কাকে বলে, কত প্রকার দেখিয়ে দিচ্ছেন। রাজনৈতিক সরকারকে মাঝেমধ্যে জিম্মি মনে হয়। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। রাজনৈতিক সরকার চলবে নির্বাচনের সময় দেওয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী। সামনে থাকবে ভোটের ইশতেহার। ক্ষমতা পাওয়া রাজনীতিবিদরা নির্দেশ দেবেন, আমলারা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী বাস্তবায়ন করবেন। এটাই নিয়ম। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে সবকিছুর গাইডেন্স আছে। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছেটা কী? গত তিন বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে। আমলারা সীমাহীন দাপুটে হয়েছেন। নিজেরাই সুযোগ-সন্ধানীর মতো স্লোগান ও মিছিল করছেন। রাজনীতিবিদের তোয়াক্কা করছেন না। ক্ষমতার দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়ছেন কারণে-অকারণে। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। এভাবে সরকারকে সহায়তা করা হয় না। আনুগত্যও সঠিকভাবে প্রকাশিত হয় না। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নই আনুগত্যের সঠিক প্রকাশ।