কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দেশটা হোক সবার

সমকাল সুধীর সাহা প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২১, ০৯:১৮

১৯৪৬ সালে 'গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং' নামে দাঙ্গা হয়েছে। ১৯৪৭ সালে কলকাতায় দাঙ্গা হয়েছে সীমিত আকারে। কারণ, সে সময় মহাত্মা গান্ধী কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। বাঙালি হিন্দুরা পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতের পশ্চিম বাংলায় উদ্বাস্তু হিসেবে গমন করেন পর্যায়ক্রমে। ১৯৫০ থেকে এর শুরু। পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫০ সালের দাঙ্গার পর এই যাওয়া অনবরত চলেছে। একটু হয়তো কমে এসেছিল, কিন্তু ১৯৬৪ সালের দাঙ্গায় আবার তা বেড়ে গেল। ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়ার অত্যাচার যখন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়েছিল, তখন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ব্যাপক জনস্রোতের আগমন ঘটে পশ্চিম বাংলায়। ১৯৭২ সালে দুর্গাপূজার সময় একসঙ্গে সারা বাংলাদেশের মন্দির এবং পূজামণ্ডপে হামলা হয়েছিল। ১৯৮১ এবং ১৯৯০ সালে আবার দাঙ্গা হয় বাংলাদেশে। মন্দির ধ্বংস করা হয়, হিন্দুদের বাড়িঘরের ক্ষতি করা হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর। ফলস্বরূপ বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক পশ্চিম বাংলায় আশ্রয় নেওয়া অব্যাহত রাখেন। হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২০১২, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে। মহাত্মা গান্ধীর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। নোয়াখালীর দাঙ্গা থামাতে ছুটে এসেছিলেন মহাত্মা গান্ধীও। ১৯৬৪ সালের দাঙ্গা থামাতে বঙ্গবন্ধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। 'পূর্ব পাকিস্তান রুখিয়া দঁাঁড়াও' বলে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সুযোগ নষ্ট করে দেয় বারবার। কিন্তু বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর দেশত্যাগ থেমে থাকেনি। পশ্চিম বাংলা এবং কলকাতার উন্নতি ও বলিষ্ঠ অবস্থানের পেছনে অনেকটাই কাজ করেছে বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়া বাঙালি হিন্দুরা। ২০১৪-এর হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা শতকরা মাত্র ৮ ভাগে নেমে আসে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও