অপ্রতুল ব্যবস্থাপনার কারণে মৃত্যু বেড়েছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলার ক্ষেত্রে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখছি। সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের মৌলিক ব্যবস্থাপনার ঘাটতির ফল এখন পোহাতে হচ্ছে। অক্সিজেন সরবরাহে অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার ঘাটতি আছে। সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসায় অনেক জেলায় আইসিইউ নেই। এসবের ফলে রোগীর মৃত্যু বাড়ছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবা আমরা যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে পারিনি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। কিন্তু সংক্রমণ কমাতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে মহামারি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মহামারি নিয়ন্ত্রণে কিছু ব্যাকরণসিদ্ধ পদ্ধতি আছে। সেগুলোর দিকে এখনো দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে না। যেমন প্রথম কাজ হলো পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্তদের শনাক্ত করা এবং তাঁদের আইসোলেশন (বিচ্ছিন্ন রাখা) নিশ্চিত করা। আক্রান্ত ব্যক্তির পুরো পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা। ওই পরিবারের বাজার, ওষুধ কেনা বা প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় সহায়তা করতে হবে প্রতিবেশীদের। অর্থাৎ, ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক অংশগ্রহণ দরকার।