কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দাম বাড়লে জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠবে

সমকাল এম শামসুল আলম প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২১, ১২:০৫

বিদ্যুতের দাম গত ১১ বছরে ১০ দফায় বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে পাইকারি দাম বেড়েছে ১১৮ শতাংশ আর খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে ৮৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া প্রতিবছর বিদ্যুৎ খাতে সাত-আট হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, যা দামের সঙ্গে যুক্ত হলে বিদ্যুতের প্রকৃত দাম আরও বেশি হবে। সঠিক দাম ও মানে বিদ্যুৎ বা জ্বালানি পাওয়া ভোক্তার অধিকার। জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশেই বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় আমাদের থেকে কম। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে প্রথমেই রূপান্তরের প্রশ্নটি বিবেচনায় আসে। নব্বইয়ের দশক থেকে এই রূপান্তর কার্যক্রম শুরু হয়। তাতে এ খাতে যেসব পরিবর্তন এসেছে, তার মধ্যে- ক) ব্যক্তি খাত বিনিয়োগ আকর্ষণে বেসরকারীকরণ, খ) ভর্তুকি রহিতকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্যিকীকরণ এবং গ) বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণকে বিভাজন উল্লেখযোগ্য। তবে দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নে এ খাতের সব পর্যায়ে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ খাতকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে পরিণত করা হয়নি; বরং সরকারি মালিকানাধীন কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উচ্চহারে লভ্যাংশ প্রদানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যহার বাড়ছে। আবার বাণিজ্যিকীকরণের নামে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে জনবল ব্যয় অত্যধিক বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেতন, সুযোগ-সুবিধা, পদোন্নতি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতো পারফরম্যান্সভিত্তিক নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মতো। মুনাফা অর্জন ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানির মতো দক্ষতা ও সক্ষমতাভিত্তিক নয়। আর্থিক গতিতে থাকা সত্ত্বেও বিইআরসি কর্তৃক নির্ধারিত হারে বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ভোক্তার কাছ থেকে মুনাফা মার্জিন আদায় করে। কোম্পানির মালিক সরকার হলেও এসব কোম্পানি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরিচালক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এরাই মালিক হিসেবে ব্যক্তিগত বিবেচনায় কোম্পানি চালায়। ফলে কোম্পানিগুলো অদক্ষতা ও সুশাসন সংকটের শিকার। সরকারের সার্বভৌম ক্ষমতা এখানে অকার্যকর। ফলে ভোক্তাস্বার্থ ও জ্বালানি অধিকার বিপন্ন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও