![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2021-04%252F250bcd33-5f15-41e9-8bbc-17d9657b22ea%252F27_04_21_editorial.jpg%3Frect%3D0%252C231%252C2550%252C1339%26overlay%3Dhttps%253A%252F%252Fimages.prothomalo.com%252Fprothomalo-bangla%252F2020-11%252F54141ce1-65f9-4c75-b13f-9fdce8bbd3dc%252Ffacebook_post_banner__1_.jpg%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_opacity%3D1%26w%3D1200%26h%3D627%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue%26overlay_width_pct%3D1)
হেফাজতের বিলুপ্তি, নাকি নবরূপ গ্রহণ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সহিংসতার রেশ ধরে গত কয়েক দিনে দেশজুড়ে চলছে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান। গ্রেপ্তারের তালিকায় প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে ইসলামপন্থী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের। তবে শুধু তাঁদেরই যে আটক করা হচ্ছে, তা নয়। বিরোধী দল বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের দলের সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ভাষ্যমতে, তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভয়ে রাতে ঘরে ঘুমাতে পারছেন না। আরও একটি গোষ্ঠী তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছে। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের সদস্য।
হেফাজতের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে কয়েকটি গোষ্ঠী বেশ উচ্ছ্বসিত। তাদের মধ্যে বামপন্থী এবং ডানপন্থী উভয় মতাদর্শের দল ও গোষ্ঠী রয়েছে। ডানপন্থীদের মধ্যে আছে প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি গোষ্ঠীগুলো। মতাদর্শের দিক থেকে এসব গোষ্ঠী যে হেফাজত থেকে খুব একটা আলাদা, তা মোটেও নয়। এরাও কট্টর রক্ষণশীল ইসলাম কায়েমের পক্ষে। এরাও পাকিস্তানের মতো আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণার জন্য মিছিল করেছে, নারী নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, পাঠ্যসূচির ইসলামীকরণের কথা বলেছে। আর বামপন্থীদের মধ্যে সরকারের সহযোগী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাসদের কথা বলা যায়। জাসদ হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার দাবি জানিয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে, সরকার যখন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, পাঠ্যপুস্তকে নীরবে পরিবর্তন ঘটিয়েছে এবং নির্বাচনের প্রাক্কালে সমর্থন চেয়েছে, তখনো তারা সরকারের সঙ্গ ত্যাগ করেনি। যতক্ষণ পর্যন্ত ইসলামপন্থী কোনো গোষ্ঠী সরকারের কথায় চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সহাবস্থানে এদের খুব একটা আদর্শগত সমস্যা হয়েছে, তা বলা যায় না। এক অর্থে হেফাজত আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে তাতে কোনো সমস্যা বা বিপদের ঝুঁকি নেই বলেই তাদের ধারণা বা বিশ্বাস।