বেকার-বেসরকারি চাকরিজীবীদের দিকেও নজর দিন
ঢাকা শহরের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখের লোকের মধ্যে ৭০ লাখ লোক বেসরকারি চাকরির ওপর নির্ভরশীল। সারাদেশের মতো এখানেও সরকারের চেয়ে বেসরকারি খাতে বেশি লোক কাজ করছে। আবার করোনায় আক্রান্ত ৯০ শতাংশ লোক ঢাকা শহরের। ঢাকার ওপর দিয়েই যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি আপদ-বিপদ। এই দুরবস্থায় সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় আছে বেকার এবং বেসরকারি চাকরিজীবীরা। বেসরকারি চাকরিজীবীদের সিংহভাগের বেতন আবার ৩০ হাজারের নিচে। বাড়িওয়ালা বাড়ি ভাড়া কমায়নি। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। চিকিৎসাব্যয় বাড়ছে। বেড়েছে যাতায়াত খরচ। লকডাউন বা তালাবন্দিকালে এই ভাড়া আরও লাগাম ছাড়া। প্রায় সবাইকে চাকরিস্থলে যেতে হচ্ছে উচ্চপরিবহন ভাড়া দিয়ে।
ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিকের পরই করোনার মধ্যে ব্যাংকাররা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছেন। ডাক্তার-পুলিশের চাকরি ও বেতনের সমস্যা নেই। প্রতিদিন চাকরি হারাচ্ছে সাংবাদিকরা- তাই তাদের কথা নতুন করে বলার নেই। ব্যাংকাররা সে মাত্রার চাকরি না হারালেও তাদের অবদানটা সবচেয়ে অনালোচিত রয়ে গেছে। অথচ এই সময়ে অর্থনীতিকে সচল রাখার ক্ষেত্রে তারা দৃষ্টান্তমূলক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মাস্ক পরে লোকজন ব্যাংকে যাচ্ছে কিন্তু টাকা তোলার জন্য মাস্ক খুলতে হচ্ছে। ব্যাংকাররা সরাসরি তাদের সামনে এক্সপোজ হচ্ছেন।