ছাত্রদের উসকে দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় ছিলেন মামুনুল: পুলিশ
কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে উসকানি দিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। উদ্দেশ্য ছিল নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা।
রিমান্ডে থাকা মামুনুল হক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ- কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ।
মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক।
তিনি বলেন, "হেফাজতের নেতাকর্মীদের উসকানি দিতেন মামুনুল। তিনি বলতেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।"
মোহাম্মদপুর থানার নাশকতার এক মামলায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটির এই নেতাকে সোমবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার এসআই সাজেদুল হক।
শুনানি নিয়ে মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী সাতদিনই মঞ্জুর করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানিয়েছেন।
মামুনুলের ৩ বিয়ে স্বীকার, কাবিন আছে একটি: পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ঘেরাও হওয়ার পর হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের একাধিক বিয়ের খবর আলোচনায় আসে। এর কিছুদিন পর বের হয় তার তৃতীয় বিয়ের খবর। এই তিনটি বিয়ের কথা নিজেই স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশিদ। সেখানে তিনি প্রথম বিয়ের কাবিন আছে, পরের দুটি বিয়ের কোন কাবিন নেই বলে জানান
হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
তেজগাঁও বিভাগ। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (১৮ এপ্রিল) বেলা একটার দিকে তাঁকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মিনিট দশেক আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।