দল হিসেবে ভালো খেলতে হবে

কালের কণ্ঠ ইকরামউজ্জমান প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৫২

ক্রিকেট বড় বেশি এলোমেলো হয়ে পড়েছে। ক্রিকেটাররা মাঠে মুখ উঁচু করে দাঁড়াতে পারছেন না। দলীয়ভাবে তাঁদের চেহারা বিবর্ণ। আত্মবিশ্বাসের অভাব, মুখে অবশ্য অন্য সুর। সততার সঙ্গে প্রতারণা। মাঠে প্রয়োগের বিষয়টি বড় বেশি প্রশ্নবিদ্ধ। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োগে ঘাটতি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পরও খেলোয়াড়রা বুঝতে পারছেন না তাঁদের দায়িত্ব কী। তাঁদের কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়। ক্রিকেটের কোনো সংস্করণে দেখা মিলছে না দলীয়ভাবে ভালো খেলা। কেউ এক ম্যাচে ভালো ব্যাট করছেন, বল করছেন, তার পরের ম্যাচেই রংহীন। ফিল্ডিংয়ে এত কিছুর পরও উন্নতি নেই। খেলোয়াড়রা পারছেন না দলীয়ভাবে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করার মানসিকতা প্রদর্শন করতে। এতে করে দল সব সময় ভুগছে। ধারাবাহিকতার সঙ্গে ভালো ক্রিকেট খেলার কোনো বিকল্প নেই।


মাঠের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো—দল হিসেবে, টিম হিসেবে বাংলাদেশ দল ভালো খেলতে পারছে না। সবার অংশগ্রহণ এবং অবদান ছাড়া তো দল ভালো করতে পারবে না। খেলা দেশের জন্য, আর সেই খেলাটি সবাই মিলেই খেলতে হবে। মাঠের লড়াইয়ে সবার দায়িত্ব আছে। এখানে সিনিয়র-জুনিয়র কোনো পার্থক্য নেই, সবাই সমান। সবাই তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার মধ্যে আছে আলাদা গৌরব এবং সম্মান। এখানে সঠিক ‘ক্যারেকটারের’ প্রতিফলনই কাম্য। দেশের খেলায় তো চিন্তাহীনতার সুযোগ নেই। টিম বাংলাদেশ মানেই তো এক প্রাণের অধিকারী একটি দল। এখানে তো দুই দল থাকার সুযোগ নেই। সবার এক পরিচয় ক্রিকেটার। তারকাবন্দনা মাঠের বাইরে। নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ নেই জাতীয় দলে। মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যর্থতার স্বাদ আসবে। ভেঙে পড়লে চলবে না। সেই ব্যর্থতা থেকে, অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়গুলোকে পরবর্তী সময়ে কাজে লাগাতে হবে। বারবার একই ভুল করা হবে কেন। কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়মিতভাবে খেলার পর টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান যখন বলেন, আমরা শিখছি—এরপর কী বলার আছে। জাতীয় দল নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কারো অধিকার নেই। ইচ্ছা হলো খেললাম। ইচ্ছা হলো খেললাম না। সমস্যা হলো কেউ অপরিহার্য নয়—এটা বলার শক্তি তো এত বছরেও ক্রিকেটে হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও