![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fwww.jagonews24.com%2Fog-image%2Fopinion%3Ffile%3Ddefault%26imgPath%3D2019November%2Fimran-20210409102859.jpg)
নৌপথে প্রাণহানি বন্ধ হবে কবে?
"আমার ঘরে বাতি জ্বালানোর মতো কেউ রইল না। দুই ছেলে, স্ত্রী সবাই একা ফালাইয়া চইলা গেল। আমার সব শেষে হয়ে গেল। এই দুনিয়াতে আমার আপন বলতে আর কেউ থাকল না।" সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার নতুনগাঁও কেন্দ্রীয় শ্মশানে স্ত্রী সুনীতা সাহার (৪০) লাশ দাহ করার সময়ে আহাজারি করছিলেন সাধন সাহা (৫০)। শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবিতে অপেক্ষার পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে স্ত্রীর লাশ বুঝে পেয়েছেন। এমন আরো অনেক সাধন সাহা, অনেক বাবা-মায়ের আহাজারি এই লঞ্চ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। অনেক বাবা-মা হারিয়েছেন তার সন্তানকে।
স্বজন হারানোর বেদনা যে কতটা বেদনাদায়ক তা শুধু যার হারায় সেই বুঝে। আমরা শুধু ওপর থেকে সেই ব্যক্তির কান্নাকাটি বা আহাজারিটুকুই দেখি তার ভিতরকার অবস্থা দেখতে পাই না।একটা দুর্ঘটনা ঘটার পর স্বজনদের কান্নাকাটিতে ওই এলাকার অাকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। কেউ তার স্বজনকে পায় জীবিত অবস্থায় আবার কেউ মৃত। আবার কেউ পায়ই না। তাদের এই ব্যথাটা আমরা দূর থেকে কতটা অনুধাবন করতে পারি! আজ বড় বড় দায়িত্বে যারা আছে তাদের মধ্যে থেকে কোন আত্নীয় স্বজনদের যদি এরুপ অবস্থা হতো তাহলেই হয়তো তাদের টনক নড়তো।