প্রতারণা এবং সন্ত্রাস
নারায়ণগঞ্জের রিয়েল রিসোর্টে হেফাজতি নেতা মামুনুল হক নিজে যে আদর্শের কথা ওয়াজ মাহফিলে শোনান, সেই আদর্শের বাইরে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লেন কিছু তরুণের হাতে এবং আল্লাহর কসম খেয়ে ডাহা মিথ্যে কথা বলতে লাগলেন-এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়ার পর শত শত মাদরাসার ছেলে তাদের গুরু মামুনুল হককে উদ্ধার করতে গিয়ে রিসোর্টের ভিতর রিসেপশন, রেস্তোরাঁ যা পেয়েছে ভেঙে গুঁড়ো করে দিয়েছে। দেখে প্রশ্ন জাগছিল মনে, মাদরাসার ছেলেরা এভাবে অন্যের সম্পত্তি ধ্বংস করার কায়দা কোত্থেকে শিখেছে? হাতে ওদের এমন সব শক্ত লাঠি কে দিল? এমন সব অস্ত্র, যেগুলো দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোটা রিসোর্টের যাবতীয় জিনিসপত্র মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যায়!
রিসোর্টের মালিক দুঃখ করে বলেছেন, তাঁর কয়েক কোটি টাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। যারা রিসোর্টে ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে, যারা মামুনুল হককে মাথায় তুলে সম্মান দিয়েছে, তারা কি জানে না মামুনুল হক সেই কাজটিই করেছেন যে কাজটিকে তিনি নিজেই অনৈতিক, অবৈধ, অন্যায় বলেন? তারা কি জানে না, আল্লাহর কসম কেটে তাদের গুরু মিথ্যে কথা বলেছেন? তারা সব জানে, কিন্তু এতে তাদের কিছু যায় আসে না। তারা শিখেছে গুরু যত ভুলই করুন, গুরু যত মিথ্যেই বলুন, যত প্রতারণাই করুন, গুরুকে গুরু বলে মানতে হবে। গুরুকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে। গুরু ১০০ খুন করে এলেও গুরু নির্দোষ। বলাই বাহুল্য, যুক্তিবুদ্ধিহীন অন্ধ বধির এক জনগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। এই জনগোষ্ঠী তৈরির কারিগর মামুনুল হক এবং তার মৌলবাদী সহিংস সতীর্থরা।