উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, পুড়েছে কয়েক শ ঘর

প্রথম আলো উখিয়া প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২১, ১৮:৫৫

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নেভানো যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া, রামু, টেকনাফ ও কক্সবাজার স্টেশনের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে।

আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কয়েক শ ঘর পুড়ে গেছে। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজারের ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দল। পাশের ব্লক থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যবিধিতে আগ্রহ কম রোহিঙ্গাদের



দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় তাদের। উঁচু-নিচু, আঁকাবাঁকা সড়ক। এর মধ্যেই ঘনবসতি। বিশাল এলাকাজুড়ে তাদের বসবাস। সেখানেই দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের দুর্গম পাহাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ৩৯টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র (প্রাইমারী হেলথ সেন্টার) ও ৯৭টি হেলথ পোস্ট। প্রসূতি থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের সেবাই দেয়া হচ্ছে এসব কেন্দ্রে। সরজমিন ‘ওব্যাট-প্রান্তিক হেলথ পোস্ট’ এ দেখা গেছে দিনভর সেখানে শত-শত রোগী ভিড় করছেন স্বাস্থ্যসেবা নিতে।

এই হেলথ পোস্টে মিলছে ডেন্টাল সেবাও।

উখিয়ার কুতুপালং’র এই শরণার্র্থী শিবিরের হেল্‌থ পোস্টে গিয়ে দেখা গেছে, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেখানে। পাহাড়ের উপরে বাঁশ-বেতে তৈরি বিশাল ঘর। অভ্যর্থনা কক্ষ, জরুরি বিভাগ, বহিঃবিভাগ, দন্তঃবিভাগ, প্রসূতিসেবা, ফার্মেসি ও ল্যাবরেটরি সার্ভিস। রোগীরাও মাস্ক পরে সেবা নিচ্ছেন। কেউ কেউ ভুলে মাস্ক নিয়ে আসেননি। হেলথ পোস্ট কর্তৃপক্ষ তাদের মাস্ক উপহার দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শও দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শরণার্থী শিবিরের আনোয়ারা জানান, শিশুকে নিয়ে হেলথ পোস্টে গিয়েছিলেন। জ্বরে আক্রান্ত শিশু। ডাক্তার দেখিয়ে সেখান থেকে বিনামূল্যে ওষুধ নিয়ে ফিরেছেন তিনি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শ্রীলংকাকে অনুরোধ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা সফররত শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ৬টি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে।

যুব উন্নয়ন বিষয়ক একটি নতুন সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে এবং বাকি ৫টি অর্থাৎ সাংস্কৃতিক বিনিময়, কৃষি উন্নয়ন, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা প্রশিক্ষণ, রাষ্ট্রীয় গবেষণা সংস্থা এবং কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন সহযোগিতার সমঝোতা স্মারকগুলো নবায়ন করা হয়। এছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শ্রীলংকাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলবেন রাজাপাকসে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন সফররত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি জানান, দু'দেশের মধ্যে হওয়া আংশিক বাস্তবায়িত চুক্তিগুলো পুরো বাস্তবায়নের জন্য শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আবারো জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউ.এন.এইচ.সি.আর-এর সদস্য পদ পেতে শ্রীলংকার সমর্থনও চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রোহিঙ্গাদের দেখতে ভাসানচরে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল

রোহিঙ্গাদের দেখতে নোয়াখালীর ভাসানচরে গেছে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার (১৭ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর গিয়ে পৌছায় ১৮ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল। এতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার কাজে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা রয়েছেন। ভাসানচরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুপুরে ভাসানচরে এসে প্রতিনিধি দল ক্লাস্টারের (গুচ্ছ গ্রাম) ফোকাল মাঝিদের সঙ্গে পরিচিতি সভা করে। এর পর বিভিন্ন কাস্টার পরিদর্শন করে। প্রতিনিধি দল তিনদিন ভাসানচরে অবস্থান করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও