সব ধর্মই সু-শিক্ষা দিয়ে গেছে, শেখেনি মানুষ
গান্ধারী’র অভিশাপে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ কিভাবে দেহত্যাগ করেছিলেন, তার কাহিনী আজ বর্ননা করব। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ সবে শেষ হয়েছে । রক্তাক্ত প্রান্তরে এসে সন্তানদের মৃত্যুতে ভেংগে পড়লেন গান্ধারী । ( গান্ধারী কে ? এ প্রশ্নের উত্তর যথাসময়ে পেয়ে যাবেন )। এই ধ্বংসলীলার জন্য তিনি দায়ী করলেন ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে । তিনি তাকে অনেকবার যুদ্ধের ভয়াবহতা বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন । এ বিষয়ে কোন কিছুই শুনতে চাননি দুর্যোধন । যুদ্ধ উত্তর কোন কথাই আমলে নিতে নারাজ পুত্রশোকে কাতর গান্ধারী । উল্টো অভিশাপ দিলেন, কুরু বংশের মতই নির্বিচারে ধ্বংস হয়ে যাবে শ্রী কৃষ্ণের যদু বংশ । গান্ধারীর এই অভিশাপকে আশীর্বাদ হিসেবে মেনে নিলেন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ । কারন তিনি জানতেন, যাদবদের বংশ একদিন অন্তর্কলহের বিষ বাষ্পে ধ্বংস হয়ে যাবে । ফলে গান্ধারীর অভিশাপ শ্রী কৃষ্ণের কাজকে বরং সহজ করে দিয়েছিলেন । অন্যদিকে গান্ধারীকন্যা সেই একই সময়ে শ্রী কৃষ্ণকে এই বলে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে – তিনি আর মাত্র ছ’ত্রিশ বছর বাঁচবেন এবং হয়েছিলও তাই। কুরুক্ষেত্র প্রান্তরে অভিশপ্ত হবার ছত্রিশ বছর পরেই দেহ রেখেছিলেন কৃষ্ণ ।