হিস না বুম?
হিসস!
‘হিস’ শব্দ করে বাষ্পের প্রবাহটি বন্ধ হয়ে গেল। হাতলের ওপরের ঢাকনাটি পিছলিয়ে নিচে এসে বাতাস ঢোকার কিংবা বের হবার জায়গাটুকু বন্ধ করে দিলো। পরবর্তী ‘হিস’ আসার আগে পর্যন্ত সিল করা পাত্রটির ভেতরে বায়ুচাপ বাড়তে থাকল। সাধারণ রান্না প্রক্রিয়ার চেয়ে কম জ্বালানি আর সময় ব্যবহার করে, কয়েকবার ‘হিস’ শব্দ হতে হতেই খাবার রান্না হয়ে গেল। বায়ুচাপের সহজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি তত্ত্ব থেকে ফরাসি পদার্থবিদ ডেনিস পাপিন আজ থেকে বহুবর্ষ আগে— ১৬৭৯ সালে প্রেশার কুকার আবিষ্কার করেছিলেন।
আজ, শতশত বছর পর প্রতিটি রান্নাঘরের আবশ্যকীয় উপকরণ হিসেবে বিবেচিত এই প্রেশার কুকার। যদি তাকে ‘হিস’ শব্দ করতে দেওয়া হয়, তাহলে তা আপনার জন্য চমৎকার কাজ করবে। আর যদি তা না করে গলা টিপে বন্ধ করতে চান এই হিস হিস-কে, তাহলে সে কেবল আপনার বিরুদ্ধচারণ করবে এবং রূপান্তরিত হবে এক ভয়ংকর ‘প্রেসার বোমায়’।
চাপে থাকতে কেউই পছন্দ করে না। কিন্তু, একই সঙ্গে এটা এড়ানোরও কোনো উপায় নেই। এই যে চাপ ব্যবস্থাপনা, আপাতঃ দৃষ্টিতে এই সহজ কাজটির ওপরই আসলে নির্ভর করে একজন মানুষের সফলতা বা ব্যর্থতা। এবং এই ফলাফলটি আসবে ‘হিস’ শব্দের মাধ্যমে, কিংবা বোমা বিস্ফোরিত হবার ‘বুম!’ শব্দের মাধ্যমে। ‘হিস’ শব্দটি শ্রুতিমধুর নয় কোনো দিক দিয়েই। কিন্তু, একে সহ্য করুন; আখেরে আপনারই ভালো হবে। সত্যি বলতে কী, ‘হিস’ শব্দটিই আপনাকে নিরাপদে রাখতে সক্ষম।