‘ছেলেকে দেখে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কেঁদেছিলেন মা’
সাধারণ শাশ্বত বাঙালি নারীর মতোই ছিলেন তমিজা খাতুন। খুব মানবিক ও দানশীল ছিলেন। মানুষকে আপ্যায়ন করতে পছন্দ করতেন। ছেলেমেয়েদের সব সময় ন্যায় আর সত্যের পথে চলার কথা বলতেন। এমনকি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল হামিদ জীবনের অনেক ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতেন বিচক্ষণ মা তমিজা খাতুনের সঙ্গে পরামর্শ করে।
যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু বিহারিদের ফেলে যাওয়া একটি বাড়ি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল হামিদকে নিতে বলেন। বঙ্গবন্ধুকে সিদ্ধান্ত জানানোর পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল হামিদ মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। মা তমিজা খাতুন সন্তান মোঃ আবদুল হামিদকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, বাড়িটি বিহারিদের ফেলে যাওয়া। মা তখন ছেলেকে বলেন, “বাবা, তুমি এ বাড়ি নিবে না। তুমি বঙ্গবন্ধুকে বলবা, ‘আমি বাড়ি নিতে নিষেধ করেছি। অন্যের ফেলে যাওয়া বাড়ি যতই বড় হোক, ভালো হোক তা হবে আমাদের জন্য দীর্ঘশ্বাস আর অভিশাপের’।” কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার পাশাপাশি গ্রাম কামালপুর এবং ইসলামপুর। প্রকৃতির অপরূপ শোভন আবহ এখানকার জনপদে। বর্ষায় হাওরের চারদিকে দৃষ্টিজুড়ে পানিতে থইথই করে। শুকনা মৌসুমে পানি শুকিয়ে হাওরের উর্বর পলির জমিতে ধানের ক্ষেত সবুজ কার্পেটের মতো বিছিয়ে থাকে।