ধুতি-শাড়ির সমারোহে উড়ে গেল ‘করোনার সাজ’
আশঙ্কাটা তৈরি হয়েছিল ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’-তেই। ‘বাঙালির প্রেমদিবস’ সরস্বতী পুজোয় সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। শাড়ি আর ধুতি-পাঞ্জাবির সাজগোজে সেই বাদই পড়ল মাস্ক। দেখা গেল না দূরত্ব-বিধি মেনে দায়িত্ব পালনের চেষ্টাও। এর সঙ্গেই পুলিশ-প্রশাসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে দেদার মাইক বাজল পাড়ায় পাড়ায়। যা দেখে বোঝার উপায় রইল না যে, আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও কলকাতা করোনামুক্ত নয়।
আশঙ্কা আরও বাড়াল একাধিক দায়িত্বজ্ঞানহীন, বেপরোয়া মন্তব্য। হাতিবাগানের একটি রেস্তরাঁয় যেমন দুপুর থেকেই প্রবল ভিড়। গেটের কাছে দাঁড়ানো নিরাপত্তাকর্মী নাগাড়ে বলে চলেছেন, ‘‘দয়া করে মাস্কটা পরে নিন। হাতটা স্যানিটাইজ় করে ভিতরে আসুন।’’ কিন্তু কথা শুনছেন না অনেকেই। তিন-চারটি যুগলকে ছাড়ার পরে পথ আটকালেন নিরাপত্তাকর্মী। তাঁর সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিয়ে এক তরুণ বললেন, ‘‘দাদু, আপনি এখনও করোনা খুঁজছেন? ডিজিটাল থার্মোমিটারটা বাড়িতে রেখে আসুন।