বাংলাদেশ সরকার গঠন
তাজউদ্দীন ভাইয়ের বক্তৃতা টেপ করতে হবে, তিনি সমস্ত বক্তৃতা নিজেই হাতে লিখে নিলেন। পরদিন তাজউদ্দীন ভাই দ্বিতীয়বারের মতো ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। সিদ্ধান্ত হয়, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার ভারতের মাটিতে অবস্থান করতে পারবে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, তাঁদের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ এবং শরণার্থীদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের খবরাখবর প্রচারের জন্য একটি বেতার স্টেশন স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
আমরা বিমানে করে আবার কলকাতা ফিরে এলাম। জানলাম, মনসুর ভাই (ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী) ও কামারুজ্জামান (এ এইচ এম কামারুজ্জামান) এসেছেন। তাঁদের কথা শুনে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। খবর নিয়ে জানলাম, কলকাতায় গাজা পার্কের কাছে একটা বাড়িতে কামারুজ্জামান ভাই থাকেন। আমি ও তাজউদ্দীন ভাই কামারুজ্জামান ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। আমরা তাঁর কাছে এ পর্যন্ত সমস্ত ঘটনা ব্যক্ত করি। কামারুজ্জামান ভাইয়ের মনে একটা জিনিস ঢোকানো হয়েছে যে আমরা তাড়াহুড়ো করে দিল্লি গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছি। নেতাদের জন্য অপেক্ষা করা আমাদের উচিত ছিল।