জার্মানিতে আসাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু
২০১৩ সালে সিরিয়ার ঘোটা শহরে ও ২০১৭ সালে খান শেইখুন শহরে ছাড়া হয় সারিন গ্যাসবোমা, যা আদতে যুদ্ধে ব্যবহৃত অন্যতম রাসায়নিক অস্ত্র৷ এই বিষাক্ত সারিন গ্যাসের প্রকোপ শ্বাসরোধ করে মারে ঘোটা শহরের অন্তত এক হাজার বাসিন্দাকে, যার মধ্যে চারশ' ছিল শিশু৷
এভাবে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার আন্তর্জাতিক আইনের চোখে যুদ্ধাপরাধের সমান৷ এই ভয়াবহ হামলার ফলে বহু সিরিয়ান মারা গেলেও অনেকে প্রাণে বেঁচে, পালিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নেন৷
বর্তমানে জার্মানিতে বাস করছেন ছয় লাখেরও বেশি সিরীয় শরণার্থী, যাদের রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনের সময় গৃহযুদ্ধকালীন সময়ে নিজেদের ভূমিকার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে হয়েছে৷ জানাতে হয়েছে যে তারা আক্রমণকারীদের সাথে যুক্ত ছিলেন, না কি আক্রান্তদের দলে৷
গ্যাসবোমার বিষাক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেবার মুহূর্তেও অনেকে ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলেন ভয়াবহতার চিত্র, যা এখন ব্যবহৃত হচ্ছে সিরিয়ার শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ওঠা যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করার মামলায়৷